বিশেষ প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা ফোরলেন “শেখ হাসিনা সড়কের” উদ্বোধন এখন সময়ের ব্যাপার। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে সড়কটির। পায়রা সমুদ্র বন্দরের সড়ক পথে পণ্য খালাসের কার্যক্রমে গতি আনবে এই সড়কটি। পায়রা বন্দর থেকে কুয়াকাটা-ঢাকাগামী মহাসড়কের সংযোগ রজপাড়া পর্যন্ত পাঁচ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি এখন প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
দৃষ্টিনন্দন অত্যাধুনিক ফোরলেন শেখ হাসিনা সড়কটিতে কলাপাড়ার মানুষ এখন বিকেল হলেই ঘুরতে যায়। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা দৃষ্টিনন্দন এ সড়কটির প্রবেশদ্বার দেখতে পেয়ে অনেকটা অভিভূত শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়। সড়কটির জিরো পয়েন্টে সম্প্রতি স্থাপন করা হয়েছে শান্তির প্রতীক পায়রার (কবুতর) ডানা মেলা অবয়ব।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের পহেলা জানুয়ারি তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি পায়রা বন্দরের এই ফোরলেন সড়কটির কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনসহ নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পাঁচ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৪ মিটার প্রস্থ আধুনিক সুবিধা সংবলিত সড়কটি নির্মাণে ব্যয়-বরাদ্দ রয়েছে ২৫৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের কথা থাকলেও পরবর্তীতে এর সময়কাল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সড়কটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স। সড়কটিতে রয়েছে পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন কালভার্ট। সড়কটি করতে কৃষিখেতে বহমান খাল রক্ষায় এসব কালভার্ট করা হয়েছে। কংক্রিটের তৈরি সড়কটির দুই দিকের স্লোপে ঘাসের গালিচার ওপরে গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন করতে মাঝখানের ডিভাইডারে শোভাবর্ধন জাতের গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। সড়কটি নির্মাণে ৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট নৌপথে পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরআগে ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি পায়রা বন্দরের শুভ উদ্বোধন করেন।
Leave a Reply