কলাপাড়ায় ১৬ বছরের তরুণীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেধে খালাতো বোন জামাইয়ের সঙ্গে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিওসহ স্টীল ছবি ধারন করা হয়েছে। এমনকি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বোনজামাই পলাশ হাওলাদারকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাসুদ হাওলাদারের বাড়িতে একদিন আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধারণ করা উলঙ্গ ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে এসব করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৌশলে পলাশ ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। এনিয়ে সালিশ বৈঠকে বসেন একটি মহল। শেষমেষ বুধবার দুপুরে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের ঘটনা। তরুণীর মা শুক্কুরজান লিখিত অভিযোগে জানান, সোমবার, ৩০ মার্চ রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে ঘরের সিঁদ কেটে একই এলাকার চান্দুপাড়া গ্রামের রাসেল খালাসী, আজিম হাওলাদার, বাবুল ভ‚ইয়া, রবিউল মোল্লাসহ মোট ছয় সন্ত্রাসী ঘরে ঢোকে। দেশীয় অস্ত্রের মুখে সকলকে বেধে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে তরুণীকে নিয়ে যায় তার খালাতো বোনের জামাই পলাশ হাওলাদারের কক্ষে। সেখানে দুই জনকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও করে। এরই পরিবারের অন্য সদস্যরা ডাক চিৎকার করলে ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে পলাশকে ইউপি মেম্বার মাসুদ হাওলাদারের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। দাবি করা হয় মুক্তিপণ বাবদ এক লাখ টাকা। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পলাশ পালিয়ে বাড়িতে যায়। এমনকি এনিয়ে একটি প্রভাবশালীমহল সালিশ বৈঠকে মোটা অঙ্কের রফাদফা চালায়। এক পর্যায়ে থানায় অভিযোগ দেয় তরুণীর মা শুক্কুরজান। কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply