বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
সঞ্জিব দাস, গলাচিপাঃ
কৃষিপ্রধান এই দেশ কৃষক তার প্রাণ, ফসল ফলিয়ে মাঠে রাখছে অবদান। কৃষকের শ্রম আর মোদের গবেষণা, এই দুয়ে মিলে দেখি মোরা মাঠ ভরা সোনা।হ্যা, সত্যি’ই তাই নিজের জমিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বোরো মৌসুমে ইরি ধানের বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন গলাচিপার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের মাঝগ্রামের মোঃ কালাম মিয়ার কৃতি সন্তান ও তরুণ শিক্ষিত যুবক মোঃ খায়রুল হাসান পাবেল। সরেজমিন দেখা যায় তিনি তার শিক্ষার পাশাপাশি বাড়ির পাশেই বোরো মৌসুমে ইরি ২৮ ধানের পরিচর্যা করছেন। কথা হলো তার সাথে, তিনি জানান, নিজের পরিশ্রমের সোনা ফলনে দৃশ্যপট আমার জন্য খুবিই আনন্দঘন মুহূর্ত। কেননা উত্তর রংপুর অঞ্চলে দেখেছি, সেখানে পর্যাপ্ত পানি সংকট থাকার পরেও, কৃষকরা জমিতে সেচ দিয়ে তৃমুখি কৃষি আবাদ করে বাম্পার ফলন করে নিজের এবং দেশের শস্যকণা সমৃদ্ধি করে স্বাবলম্বী হয়ে মাথা উঁচু করে সন্মান কুরিয়েছেন।
এছাড়া আমাদের এ দক্ষিণ অঞ্চলে পানি এবং জমির তেমন কোন সংকট নেই। তাই ভেবে পরিকল্পনা করেছি কি করে আমরা তৃমুখি ধানের আবাদী করতে পারি? শুরু হলো আমার আত্মপ্রচেষ্টা। আমার বাবা যেহেতু একজন সফল কৃষক, তার সহযোগিতায় (২) একর দুই শতাংশ জমিতে পানির ব্যবস্থায় ব্লক তৈরী করে কৃষিপ্রযুক্তির হাব্রিট ইরি ২৮ জাতীয় বীজ রোপণ করি। এবং আল্লাহ্’র রহমতে সুফল এবং অধিক বাম্পার ফলন হওয়াতে নিজেকে ধন্য মনে করছি। শুধু তা’ই নয়, আমার এ কৃষিপ্রযুক্তি দেখে অনেক যুবক এগিয়ে এসেছে।
তরুণ শিক্ষিত যুবক পাবেল এর সফলতার বিষয়ে চিকনিকান্দীর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, আমাদের কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে আমার ইউনিয়নের তরুণ যুব-সমাজ কৃষিপ্রযুক্তি ব্যাবহার করে তাদের এ সফলতাকে আমি স্বাধুবাদ জানাচ্ছি। কেননা, লেখাপড়া করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ মানেই চাকরি, এ কথাটির সাথে আমি একমত নই। তার প্রমাণ আপনারাই দেখছেন। আমি মনে করি একজন শিক্ষত নাগরিক তার শিক্ষার গুণগত মানটুকু সঠিক সময়ে সঠিকভাবে কাজে ব্যবহার করলেই তার সফলতা সুনিশ্চিত। এছাড়া আমি বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি অনেক তরুণ উদ্যোক্তা নিজেদের প্রচেষ্টায় সোনার বাংলায় সোনা ফলিয়ে স্বাবলম্বী ওয়াতে আমি নিজেও গর্বিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ, আর, এম সাঈফুল্লাহ জানান, আমি অত্যন্ত আনন্দিত এ কারণে, যে শিক্ষত যুবসম্প্রদায় আজ তারা পরনির্ভর নয়। শিক্ষার গুণগত মানটুকু সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় কাজে ব্যাবহার করে তাদের নিজেদের আত্মনির্ভর স্বাবলম্বী হয়ে বোরো মৌসুমে কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এছাড়া কৃষি উর্বরতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসময়ই নানা রকমের প্রণোদনা দেয়াসহ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply