সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানি; আড়াই ঘণ্টার অপেক্ষা শেষে ঘণ্টাব্যাপী শুনানি
অনলাইন ডেস্কঃ দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানির জন্য পূর্ব নির্ধারিত সকাল সাড়ে ১০টার পরিবর্তে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় দুপুর১২টা ৫২ মিনিটে। দুই পক্ষের আইনজীবীরা ঘণ্টাব্যাপী শুনানি করেন।
দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে শুনানি শেষ হয়। আদালত নথি পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদেশ দেবেন বলে জানান।
শুরুতেই আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানি করেন। তিনি জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে আসামির আইনি অধিকারগুলোর ব্যাখ্যা দেন।
এরপর একে একে আসামিপক্ষে আশরাফ-উল আলম, প্রশান্ত কর্মকার, মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে আব্দুর রশিদ এবং রোজিনার পরিবারের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শুনানি করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন জামিনের বিরোধিতা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্যের পর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ফের শুনানি করেন। এরপর বিচারক নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে জানান।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদনটি আজই নিষ্পত্তির আর্জি জানালে বিচারক তা নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।
গত মঙ্গলবার রোজিনার বিরুদ্ধে করা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম। একইসঙ্গে জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিন ধার্য করেন।
গত সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। তাকে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সচিবালয় থেকে পুলিশি পাহারায় শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। সোমবার রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার নং-১৬।
দণ্ডবিধি ৩৯৭ এবং ৪১১ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩ এর ৩/৫ এর ধারায় এ মামলা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। যেখানে তার বিরুদ্ধে সরকারি নথি সরানো ও ছবি তোলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় রোজিনা ইসলামকে।