বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠুঃ
কলাপাড়ায় সরকারী জমি দখলের মহোৎসব চলছে। পায়রা বন্দর ও ১৩২০ মেঘাওয়াট তাপবিদ্যুতের উন্নয়ন কাজের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ চলমান রয়েছে। সরকারের নিকট হতে অধিক মুনাফা লাভের আশায় কতিপয় কুচক্রি মহল সরকারী জমি দখল করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে জমি দখলের প্রতিযোগীতা দিন দিন বেড়েই চলছে। অথচ প্রসাশন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সংবাদ কর্মীদের নজরে কোন বিষয় ফুটে উঠলে তখন তারা দেখছি অথবা ব্যবস্থা নিবো বলে দায়সাড়া উত্তর দিয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে তাদের তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষ করা যায় না। পাউবোর অর্থ সখ্যতায় অবৈধ স্থাপনা নির্মানে প্রতিটি স্থাপনা আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকায় দশ হাতের পজিশন বিক্রি অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রভাবশালী মহলের প্রত্যক্ষ মদদে সরকারি জমি বিক্রির নজির বিহীন ইতিহাস ইতিবৃত্তের নন্দিত ঘটনা ঘটেটই চলছে লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা বাজার সংলগ্ন পাউবোর ওয়াপদা বেরীবাঁেধ। প্রায় অর্ধকোটি টাকার চাঁদাবাজির বেপরোয়া তান্ডবে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রভাবশালী দখলবাজ চক্র। এরা প াশটি ঘরের পজেশান ইতিমধ্যে বিক্রি করে ফেলেছে বলে একাধীক সূত্র দাবী করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজার সংলগ্ন রাস্তার দু-পাশ ঘিরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর সরকারী জায়গা দখল করে নতুন ঘড় তোলার প্রতিযোগীতা চলছে। রাস্তার পাশে মো. শাহেদ মল্লিক, মো. নাসির, মো. সোহরাব গাজী, রুমান দালাল, মো. আবুল হোসেন, জাকির হাওলাদার, মো. স্বপন হাওলাদার ও মো. পারভেজ হোসেনের ঘড়সহ একাধিক ঘড় তুলতে দেখা যায়। এরকম অনেকেই সরকারের নিকট হতে ভূমি অধিগ্রহনে অধিক টাকা পাওয়ার আশায় ঘড় তুলছে বলে একটি সূত্রে জানা যায়। সেখানে একজনের দেখা-দেখি আরেকজন ঘড় তুলছে বলেও জানা যায়। সবাই তুলছে তাই আমিও তুলছি এরকম উত্তর অনেকের নিকট হতে পাওয়া যায়। সরকারী জায়গায় ঘড় তুলছেন কিভাবে জানতে চাইলে তার কোন সঠিক উত্তর তারা দিতে পারেনি। তাদের বক্তব্য বাজারের ভিতরে এর আগেও অনেকে সরকারী জায়গায় দখল করে ঘড় তুলেছে প্রসাশন তাদের তো কিছুই করতে পারেনি। তাহলে আমরা তুললে সমস্যা কোথায়। আবার কেহ বলছে বিশ্বাস বাড়ীর দাগের মাথার জমি তাই চেয়ারম্যান সাহেবের অনুমোতি নিয়ে তুলছি।
চান্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. নাসির হাওলাদার বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান তপন বিশ্বাসের অনুমোতি নিয়ে ঘড় তুলছি। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. তপন বিশ্বাসের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের ঘড় তুলতে বলেছি কথাটি সঠিক নয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড’র প্রসাশনের অনুমোতি সাপেক্ষে আমি তাদের ঘড় তুলতে বলেছি। তারা প্রসাশনের অনুমোতি নিয়েছে কি না তা আমি জানিনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মো. ওয়ালিউজ্জামান বলেন, সরকারী জমিতে ঘড় তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।