কলাপাড়ায় অবৈধ ঘাটে পন্য খালাসে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার
বিশেষ প্রতিবেদকঃ কলাপাড়ায় ইজারা নিয়ে কিংবা সরকারী কোষাগারে কোনরকম রাজস্ব জমা না দিয়ে অবৈধ ভাবে ঘাট তৈরী করে পন্য খালাস কার্যক্রম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। অবৈধ ঘাটের এ টোল আদায়ের বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম সম্প্রতি একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে অভিযুক্ত প্রভাবশালীরা তাদের নিজস্ব জমির ভাড়া হিসেবে জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন বলে জানান।
এদিকে ইউএনও’র নির্ধেশে ধানখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক বাচ্চু সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যাতে বলা
হয়েছে সরকারী ইজারাকৃত উত্তর লালুয়া-মধুপাড়া নামক খেয়াঘাট দিয়ে পণ্য পারাপার না করে নিকটবর্তী ধোলাই বাজার নামক স্থানে নিজেদের তৈরী খেয়াঘাট দিয়ে মালামাল পারাপার করা হয়। এতে সরকারী যেমন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি অবৈধ ঘাট তৈরী করে টোল আদায়ের ফলে ভবিষ্যতে সরকারের নিকট থেকে কেউ উত্তর লালুয়া-মধুপাড়ার খেয়াঘাট ইজারা নিতে আগ্রহী হবেন না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ এই খেয়াঘাট পরিচালনা করছেন এলাকার প্রভাবশালী আতাহার তালুকদার ও বাদল হাওলাদার সহ বেশ কয়েকজন। ফলে সরকার তার নির্দিষ্ট রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আতাহার তালুকদার বলেন, ’আমার রেকর্ডীয় জমিতে ঘাট তৈরি করে মালামাল পারাপার করছি। সরকারি ভাবে কোন অনুমতি নেইনি। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে মালামাল পারাপারের জন্য লিখিত দরখাস্ত দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক বলেন, ’আমি তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। শীঘ্রই আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’