কলাপাড়ায় আম তিন কেজি ১০০ টাকা; কিনতে মানুষের ভীড়
চঞ্চল সাহা, বিশেষ প্রতিবরদকঃ কলাপাড়ায় সস্তা দামে আম বিক্রি করায় বুধবার দুপুরে পৌরশহরের মনোহরী পট্রিতে শত শত মানুষ আম কিনতে ভীর করেছে। ”লক্ষ নামের এ আম তিন কেজি ১০০ টাকায় ডেকে ডেকে বিক্রি করায় মানুষ বৃষ্টির মধ্যেও ভীর করেছে আম কেনার জন্য। এসব আম বিক্রেতারা ভ্যানের উপর আম বোঝাই করে বিক্রি শুরু করেন। আবার শেষ হয়ে গেলে স্থানীয় আড়ৎদারদের কাছ থেকে পাইকারী দরে কিনে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন এ আম। অপরদিকে, আমপলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, রূপালী আমের দাম বেশী থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষ কম দামের আম লক্ষ’র প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। তবে অধিকাংশ ক্রেতারা বলছেন,করোনার কারনে মানুষের উপার্জন অনেকটা কমে গেছে, ফলে সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। ফলে বাজারে কম দামের আমের প্রতি মানুষের ঝোঁক থাকাটা স্বাভাবিক বলেও তারা মন্তব্য করেন ক্রেতারা। আম বিক্রেতা মো.শহিদুল ইসলাম জানান, বাজারে ভাল মানের আম পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু কম দামের আম বেশী নিচ্ছে মানুষ। ফলে তারা কম দামের আমই বেশী রাখছেন। এসব আমে তাদের ব্যবসাও কম। কেজি প্রতি ২৫ টাকা দরে কিনে ৩০ টাকায় বিক্রি করায় লাভ কম হলেও ক্রেতারা কিনছেন বেশী।
এদিকে, এবছর স্থানীয় আমেরও ফলনও ভাল হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ ফরমালিন মুক্ত আম কিনতে দেশীয় এ আমের প্রাধান্য বেশী দিচ্ছেন সবচেয়ে বেশী। স্থানীয় আমের চাষাবাদ বেশী হয়েছে, কুয়াকাটা, মম্বীপাড়া নীলগঞ্জ, মহিপুর ও ধানখালী ইউনিয়নে। আগামী দু’এক বছরের মধ্যে এলাকার চাষীরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জায়গায় সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার লোন্দা এলাকার আম চাষী মো.হায়দার আলী গাজী। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, উপজেলায় অন্ততঃ এক হাজার কৃষক আম চাষাবাদ করছেন। এবছরও ২০২ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ রের্কড করা হয়েছে। ফলনও ভাল পেয়েছে চাষীরা। আগামীতে স্থানীয় এ আম এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা যাবে। এছাড়া এবছরও প্রতি হেক্টরে ২৫ থেকে ৩০ মন আমের ফলন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওই কৃষি কর্মকর্তা।