আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।। হেলেনা বেগম (৪৫) নামের এক বিধবা নারীকে কুপিয়ে দুর্বৃত্ত্বরা টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত নারীকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাজারখালী গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার বাজারখালী গ্রামের বিধবা হেলেনা বেগমের বাড়ীতে শনিবার গভীর রাতে ৪-৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত্ব কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা চাইনিজ কুঠার দিয়ে বিধবাকে এলোপাথারী কুপিয়ে ঘরের ট্রাঙ্ক ভেঙ্গে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং আড়াই ভড়ি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায় এমন অভিযোগ বিধবার ছেলে রিমনের। বিধবার ডাক চিৎসাকে ছেলে রিমন ও ছেলের বউ লামিয়া আক্তার জেগে উঠলে দুর্বৃত্ত্বরা পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে বিধবা হেলেনা বেগমকে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসা ডাঃ মোঃ ইমদাদুল হক চৌধুরী তাকে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই নারীর জ্ঞান ফিরেনি। পরিবারের অভিযোগ পুর্ব শক্রতার জের ধরে দুর্বৃত্ত্বরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। বিধবা হেলেনা মৃত্যু মানিক হাওলাদারের স্ত্রী।
আহত নারীর ছেলে মোঃ রিমন হাওলাদার বলেন, দুর্বৃত্ত্বরা কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে আমার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাইনিজ কুঠার দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে ঘরের ট্রাঙ্কে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন,বিধবা নারীর মাথা, মুখমন্ডল ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।