আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী এলাকার প্রভাবশালী মিল্টন হাওলাদার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কেটে মাটি বিক্রি করায় হুমকিতে রয়েছে আমতলী সদর ইউনিয়নের বিশ হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ জলোচ্ছাস হলে এই বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা তলিয়ে যাবে। দ্রুত এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবী করছেন তারা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া নদী সংলগ্ন ৪৩/১ পোল্ডারে ১৯৬৬ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধের কারনে জলোচ্ছাসের হাত থেকে আমতলী সদর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিরাপদে জীবন যাপন করছে। গত ১০ দিন ধরে সেকান্দারখালী গ্রামের প্রভাবশালী সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আব্দুল মালেক হাওলাদারের ছেলে মিল্টন হাওলাদার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের নদীর পাশ ও খাস জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পাশের মাটি কাটায় হুমকিতে পরেছে আমতলী সদর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এছাড়াও ওই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পাশে খাস জমির প্রায় অর্ধশতাধিক গোলপাতা গাছ ও কেওড়া গাছ কেটে নিয়ে গেছেন তিনি। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, সেকান্দারখালী এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের নদীর পাশ ও খাস জমির মাটি অবৈধ বেকু মেশিন দিয়ে কেটে বিশাল গর্ত করে রেখেছেন। যেকোন সময় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ধসে বাঁধ দেবে যেতে পারে। গোলপাতার গোড়া ও কেওড়া গাছ ও ডালপালা পরে আছে।
সেকান্দারখালী গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নারী বলেন, “মোরা কি হরমু, গত তিন বচ্ছর ধইর্যাইতো মিল্টন হাওলাদার বান্দের মাটি কাইট্টা লইয়্যা যাইতে আছে। হ্যারে তো কেউ কিছু হরতে পারে না।
একই এলাকার সোলায়মান ও শাকিল বলেন, মিল্টন হাওলাদার যখন যেভাবে প্রয়োজন হয় তখন বাঁধ কেটে মাটি বিক্রি করছে। এ বাঁধতো তার নিজস্ব সম্পতি। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলেও কোন লাভ হবে না। তারা আরো বলেন বন্যা হলে এই বাধ ভেঙ্গে এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে।
মিল্টন হাওলাদারের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মালেক হাওলাদার বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের মাটি কাটা অন্যায়। আমার ছেলে যে মাটি কেটেছে তা ভরে দেয়া হবে।
মিল্টন হাওলাদার বাঁধের মাটি কাটার ভুল স্বীকার করে বলেন, যেটুকু কাটা হয়েছে তা ভরে দেব।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান সুজন বলেন, কোন মতেই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কাটা যাবে না। এ বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, দ্রুত খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।