সঞ্জিব দাস, গলাচিপা।। গলাচিপায় কৃষকের ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কের নিচ দিয়ে রড-সিমেন্টের তেরি পাইপটি ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত শত শত কৃষকের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন সড়কে যাতায়াতকারী শত শত পথচারি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করতে গিয়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটির সাথে জড়িত পনের শত পরিবারের জনজীবন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোট শিবা গ্রামের হীরা গাজীর খাল দিয়ে কৃষকের ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য কাঁচা সড়কের নিচ দিয়ে রড-সিমেন্টের তেরি পাইপটি দীর্ঘ দিন ধরে ভঙ্গুর অবস্থায় পড়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে ট্রাক্টর কিংবা পাওয়ার টিলার নিয়ে জমি চাষাবাদ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকের। পানি নিষ্কাশন না করতে পারায় ব্যাঘাত ঘটছে কৃষিকাজে। অনাবাদি থেকে যাবে প্রায় ৭০০/৮০০ একর জমি। কৃষক ও গ্রামবাসীদের জোর দাবি জায়গাটিতে একটি কালভার্ট স্থাপন করার।
কৃষক শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘সড়কটির নিচ দিয়ে রড সিমেন্টের তৈরি একটি পাইপ বসানো ছিল। পাইপটি ভেঙে যাওয়ায় তা দিয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় পানি নিষ্কাশন হয় না। কিন্তু সেটিও এখন বিকল হয়ে গেছে। ওখানে বাঁধ দিলে আমাদের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিবে। চাষাবাদ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। আমাদের দাবি, রাস্তাটিতে যদি একটি কালভার্ট স্থাপন করা হয় তাহলে আমাদের কৃষি কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হতে হবে না।’
স্থানীয় রিয়াজ খলিফা বলেন, ‘রাস্তাটির নিচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সড়কটির সাথে ৩টি আবাসন প্রকল্প জড়িত। যাতে ৩ শতাধিক পরিবার বসবাস করে।’
চরকাজল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়েকজন কৃষক ও ভোগান্তিতে থাকা এলাকাবাসী আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে সমস্যা নিরসনে দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজন হলে অবশ্যই সেখানে কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।