আপন নিউজ রিপোর্ট।। হাজারো মানুষের চোখের জলে কলাপাড়ায় দলীয় কোন্দল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সশস্ত্র কর্মীদের হামলায় নিহত মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সকাল ১০ টার কলাপাড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার মসজিদ মাঠে বেলা ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সাফাখালী গ্রামে নিজ বাড়িতে দুপুর ১২টায় তৃতীয় জানাজা নামাজ শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ওই নামাজের জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাকিবুল ইসলাম উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে আজিমুদ্দিন গ্রামে জলকপাট এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা রাকিবুলকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে চলে যায়। রাকিবুলের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শনিবার ৭ আগস্ট সকাল ১০ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হামলার ঘটনার পরদিনই রাকিবুলের মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তরিকুল ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে।
ওই মামলার এজাহারভূক্ত আসামী রুবেল সিকদার, নয়ন বয়াতী, খলিল ও নোমানকে কলাপাড়া থানা পুলিশ গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরণ করা করেন।