আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ লুডু খেলার বাজির টাকা না পেয়ে রিয়াদ হাওলাদার ও ইব্রাহিম একই পরিবারের তিনজনকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমন অভিযোগ করেন আহত খোকন হাওলাদার। গুরুতর আহত আসমা বেগমকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে হাসপাতাল সড়কে।
জানাগেছে, পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের খোকন হাওলাদারের ছেলে রায়হান রিয়াদ হাওলাদার ও ইব্রাহিম মোবাইলে বাজিতে লুডু খেলে। ওই খেলায় রায়হান হেরে যায়। কিন্তু বাজির এক’শ ২০ টাকা রায়হান তাদের দেয়নি। এ নিয়ে মঙ্গলবার তিনজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় রায়হানকে রিয়াদ হাওলাদার ও ইব্রাহিম মারধর করে । খবর পেয়ে রায়হানের বাবা খোকন হাওলাদার ও মা আসমা বেগম ছেলেকে মারধরের বিষয়টি জানতে রিয়াদ ও ইব্রাহিমের কাছে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হানের বাবা ও মাকে রিয়াদ ও ইব্রাহিম বেধরক মারধর করে। এতে রায়হানের মা আসমা বেগম গুরুতর যখম হয়। স্থানীয়রা আসমা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
রায়হানের বাবা খোকন হাওলাদার বলেন, বাজিতে মোবাইল ফোনে আমার ছেলে রায়হান, রিয়াদ ও ইব্রাহিম লুডু খেলে।এতে আমার ছেলে হেরে যায়। কিন্তু বাজির টাকা আমার ছেলে দেয়নি। এ টাকা না দেয়ায় আমার ছেলেকে রিয়াদ ও ইব্রাহিম মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী ছেলেকে মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে।
রিয়াদ হাওলাদার বাজিতে লুডু খেলার কথা অস্বীকার করে বলেন, রায়হান আমার দোকানে এসে সিগারেট চায়। কিন্তু আমি সিগারেট দেয়নি। এতে রায়হান ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লক্ষ করে বক্স ছুড়ে মারেন। পরবর্তিতে তার বাবা ও মা এসে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করে ইব্রাহিমকে মারধর করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হিমাদ্রী রায় বলেন, আহত আসমাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।