আমতলী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী একে স্কুল চৌরাস্তায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মায়ের দোয়া নামক বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে শনিবার একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়। ওই তিন জনের মধ্যে আমতলী কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেধাবী লামিয়া আক্তার। মেধাবী লামিয়ার নিহতের ঘটনার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষাথীরা বাস চালকের বিচার দাবী করে রবিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শোক র্যালী করেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী মায়ের দোয়া পরিবহন বাসটি (পটুয়াখালী-জ-১১-০০১০) পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী একে স্কুল চৌরাস্তায় স্পীট ব্রেকার নিকট এসে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। পরে বাসটি একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এরপরে বাসটির চালক গাড়ী চালুর উপরে রেখে পালিয়ে যায়। বাসটি চালু অবস্থায় প্রথমে দুইটি অটোরিক্সা চাপা দেয়। বাসের চাপায় দুইটি অটো দুমড়ে-মুড়চে যায়।এরপরে বাসটি সামনে চলতে থাকে। দ্রুত গতিতে চালকহীন বাসটি সাতজন পথচারীকে চাপায় দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একই পরিবারের তিনজন মা নুপুর বেগম (৩০), ছেলে নিশাত (১০) ও বড় বোনের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া (১৫) নিহত হয়। কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী লামিয়ার নিহত হওয়ার ঘটনায় রবিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ঘাতক বাস চালকের বিচার দাবী করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শোক র্যালী ও সভা করেছেন। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ মাহতাব হোসেন পান্নু তালুকদারের সভাপতিত্বে র্যালী ও শোক সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক আ.খ,ম আওলাদ হোসেন তালুকদার, শিক্ষক আবদুস সালাম, মোঃ আবু সালেহ আকন,শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান কনিকা, সুমাইয়া আক্তার ও মাহফুজুর রহমান। এদিকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় একই পরিবারে নিহত তিনজনের নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশের দাফন করা হয়েছে। নিহতদের বাড়ীতে চলছে শুধুই শোকের মাতম।