আমতলী প্রতিনিধিঃ ভবন না থাকায় মাদ্রাসার ঝরাজীর্ণ ভবনে চলছে আমতলী উপজেলার একমাত্র শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় কার্যক্রম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছে শিক্ষার্থীরা। ঝুকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করায় যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এতে শিশু সন্তান নিয়ে উৎকন্ঠিত অভিভাবকরা।
জানাগেছে, উপজেলার ঝড়ে পড়া, অসহায়, শিশু শ্রমিক ও দুস্থ শিশুদের শিক্ষার আলো থেকে বি ত শিশুদের শিক্ষাদানে ২০১৫ সালে অ্যাডভোকেট আরিফ-উল-হাসান আরিফ আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমতলী পৌরসভার খোন্তাকাটা বেগম নুরজাহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে বিকেল পাঠদান ও কার্যক্রম শুরু করেন। ২০১৬ সালে ওই বিদ্যালয়টি প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনে শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট্রি বোর্ডের অনুমোদন হয়। ২০১৭ সালে খোন্তাকাটা বেগম নুরজাহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ভেঙ্গে যায়। এতে বিপাকে পড়ে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। নিরুপায় হয়ে চাওড়া কালীবাড়ী হাসানিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় জরাজীর্ণ ভবনে শিশু কল্যাণ স্কুলের পাঠদান ও কার্যক্রম শুরু করেন। গত তিন বছর ধরে ওই জরাজীর্ণ মাদ্রাসা ভবনে চলে আসছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস, ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াসের প্রভাবে ওই মাদ্রাসার ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পরেছে। এতে ওই ভবনে পাঠদান ও কার্যক্রম অনুপোযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ। আমতলীর একমাত্র শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় হলে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। দ্রুত ওই বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার একমাত্র শিশু কন্যাণ বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করাচ্ছে। টিন সেড মাদ্রাসা ভবনটি পুর্ব দিকে হেলে পরেছে। বারান্দার খুঁটি নড়বড়ে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক হেলাল রাঢ়ী ও মাহিনুর বেগম বলেন, উপজেলার একমাত্র শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নেই। একটি মাদ্রাসার ভবনে ধার করে পাঠদান করাতে হয়। এটা অত্যান্ত দুঃখজনক। দ্রুত ওই বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন নির্মাণের দাবী জানান তারা।
আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ সানজিদা খাঁন বলেন, গত ৬ বছর ধরে অন্য বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার জরাজীর্ণ ভবনে শিশু কল্যাণ স্কুল শিক্ষার্র্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা পাঠে মনোনিবেশ করতে পারছে না।
আমতলী শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট মোঃ আরিফ-উল-হাসান আরিফ বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষা বি ত ঝড়ে পড়া, অসহায়, শিশু শ্রমিক ও দুস্থ শিশুদের অন্যে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ভবনে পাঠদান করাতে হচ্ছে। এটা বেশ কষ্ট দায়ক। দ্রুত শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের পাঠদানে মনোনিবেশে উন্নত ভবন নির্মাণের দাবী জানাই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, শিশু কল্যাণ বিদ্যালয়টির জরুরী ভিত্তিতে ভবন প্রয়োজন। ভবন না থাকায় পাঠদান ব্যহত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ কাওসার হোসেন বলেন, ওই বিদ্যালয়টি ঝরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান চলেছে। দ্রুত ভবন নির্মাণে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।