আমতলী সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ নেই; শিক্ষক সংঙ্কটে পাঠদান ও কার্যক্রম ব্যহত | আপন নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩২ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
আমতলী সদর ইউপি নির্বাচনে শেষ সময়ে প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা; জরিপে এগিয়ে মোতাহার আমতলী একে স্কুল মহাসড়ক থেকে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কলাপাড়ায় দূর্যোগ সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় ট্রাক কেনার কথা বলে আপন ভাতিজীর টাকা নিয়ে উধাও আপন চাচা জমে উঠেছে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা! কলাপাড়ায় ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ গলাচিপায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, শিশুর মৃ’ত্যু কলাপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিষয় সালিশি বৈঠক শেষে হামলা; তিনজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলে ও ছেলের বউকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ
আমতলী সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ নেই; শিক্ষক সংঙ্কটে পাঠদান ও কার্যক্রম ব্যহত

আমতলী সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ নেই; শিক্ষক সংঙ্কটে পাঠদান ও কার্যক্রম ব্যহত

আমতলী প্রতিনিধিঃ শিক্ষক সংঙ্কটে আমতলী সরকারী কলেজের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। ২২ বিষয়ের ৮ বিষয়ে শিক্ষক নেই। ৮ বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। কলেজে অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মচারী ও অফিস সহায়কসহ ৪৪ জনের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন। অর্ধেক পদ অর্থাৎ ২২ জনের পদ শুন্য। অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারী চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও কলেজের কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। দ্রুত অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারী দেয়ার দাবী জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।




জানাগেছে, ১৯৬৯ সালে উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে শিক্ষানুরাগী সাবেক এমপিএ আলহাজ্ব মোঃ মফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে অল্প শিক্ষার্থী দিয়ে কলেজের পাঠদান শুরু হলেও বেশী দিন তা অব্যহত থাকেনি। দিন দিন প্রসার ঘটতে থাকে কলেজের। মান সম্মত পাঠদান দেওয়ার ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল কলেজটিকে জাতীয়করণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয়করণ হওয়ার পরপরই শিক্ষকরা অবসরে যান। ওই সময় থেকেই শিক্ষক সংঙ্কট দেখা দেয়। বর্তমানে কলেজটি চরম শিক্ষক সংঙ্কট রয়েছে। বিজ্ঞান, বানিজ্য ও মানবিক বিভাগে কলেজে ¯œাতক, একাদ্বশ ও দ্বাদশ শ্রেনীতে দুই হাজার সাত’শ ৩৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজের ২২ টি বিষয়ের পাঠদান হয়। জাতীয়করণের পর থেকে এ ২২ বিষয়ের মধ্যে ৮ টি বিষয়ের শিক্ষক নেই। শিক্ষক না থাকায় ৮ বিষয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। আবশ্যিক বিষয় বাংলার শিক্ষক মোসাঃ রেহেনা খানম ২০১৬ সালে অবসরে গেছেন। ওই সময়ে থেকে এ বিষয়ের শিক্ষক নেই। গত ১ অক্টোবর আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার অবসরে যান। গত ১৫ বছর ধরে ফিন্যান্স ও মার্কেটিং বিষয়ের শিক্ষক নেই। ২০১৯ সাল থেকে ইসলামের ইতিহাস, ইতিহাস, অর্থনীতি, পৌরনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের শিক্ষক নেই। লাইব্রেরীয়ান ও শারীরিক শিক্ষক নেই দীর্ঘদিন ধরে। তিনজন কারনিকের আছে একজন। ৫ জন প্রদর্শক শিক্ষকের বিপরীতে আছে দুই জন। ১১ জনের অফিস সহায়ক পদের স্থানে কর্মরত আছে মাত্র ৫ জন। ৬ জনের পদ শুন্য। শুন্য পদের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কারনিক ও অফিস সহায়করা অবসরে গেছেন। কলেজে শুধুই নেই আর নেই এমন দাবী কর্মরত শিক্ষকদের। এদিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মজিবুর রহমান অবসরে যান। বর্তমানে কলেজটিতে অধ্যক্ষ পদও শুন্য। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে কলেজের কার্যক্রম। জাতীয়করণের পর থেকে পর্যায়ক্রমে শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় শিক্ষক সঙ্কট চরম আকার ধারন করছে। গত পাঁচ বছর ধরে শিক্ষক অবসরে গেলেও শিক্ষা মন্ত্রনালয় শিক্ষক দিচ্ছেন না এমন অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হোসেন আহম্মেদের।এতে পাঠদান বি ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দ্রæত অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও কর্মচারী দেয়ার দাবী জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বানিজ্য বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমতলী সরকারী কলেজে বানিজ্য বিভাগে ভর্তি হওয়া মানে শিক্ষা জীবনকে বিপদে ঠেলে দেয়া। দীর্ঘদিন ধরে এই বিভাগে ফিন্যান্স ও মার্কেটিং বিষয়ের শিক্ষক নেই।

ইতিহাস বিষয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান বলেন, শিক্ষক না থাকায় ক্লাস হচ্ছে না। এতে চরম ভাবে শিক্ষা থেকে বি ত হচ্ছি। দ্রুত শিক্ষক দেয়ার দাবী জানান তিনি।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ বলেন, শিক্ষক না থাকায় গত দুই বছর ধরে অর্থনীতি বিষয়ের ক্লাস হয় না। এমন একটি জটিল বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম বিপদে পরছে।

শিক্ষার্থী জাকারিয়া, সুচনা, তানহা, কুনতুলিকা সেতারা ও মেহেরুন আক্তার বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে কলেজের আবশ্যিক বিষয় বাংলার শিক্ষক নেই। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক গত মাসে অবসরে গেছেন, পাঠদানে সমস্যা আরো একটি যোগ হলো। এতে আমরা পাঠদান থেকে বি ত হচ্ছি। দ্রæত কলেজে আবশ্যিক বিষয়সহ সকল বিষয়ের শিক্ষক দেয়ার দাবী জানান তারা।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হোসেন আহম্মেদ বলেন, কজেলের ২২ টি বিষয়ের ৮ টি বিষয়ের শিক্ষক নেই। অবসরে যাওয়ার পর থেকে ৮ বিষয়ের শিক্ষক শুন্য। সংশ্লিষ্ট দফতরে শিক্ষক চেয়ে আবেদন করেছি কিন্তু পাচ্ছি না। শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কারনিক ও অফিস সহায়কসহ ৪৪ জনের পদ রয়েছে। কিন্তু কর্মরত আছে মাত্র ২২ জন। ২২ জনের পদ শুন্য রয়েছে। দ্রুত চাহিদামত শিক্ষক, কারনিক ও অফিস সহায়ক না দিয়ে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!