প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১:৪৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০, ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
কলাপাড়ায় ভিজিডি চাল বিতরণে অনিয়ম; ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবি
আপন নিউজ রিপোর্টঃ
কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের সরকারী ভিজিডি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় কলাপাড়া শহরে অবস্থিত চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের অফিস হতে ভিজিডি চাল বিতরণের সময় এ অনিয়মটি ঘটেছে। এসময় ভিজিডি কার্ডধারী লোকজন চাল কম দেয়া নিয়ে হট্টগোলো করলে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে ভিড় করেন এবং চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। এসময় ভুক্তভোগীরা জানান চেয়ারম্যান বিগত দিনের অনিয়ম করে আসছে, এমনকি চালের অনিয়মের দায়ে জেলও কেটেছে ওই চেয়ারম্যান। তবুও বন্ধ হচ্ছেনা সরকারি চাল কম দেওয়া।
এ প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী মহিলা-পুরুষ কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিকার চাই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের মোট ৩২৮ জন ভিজিডি কার্ডধারীদের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভিজিডি চাল জনপ্রতি ৩০ কেজি করে দেয়ার কথা। কিন্তু সেখানে ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে ২০-২৫ কেজি করে চাল দিতে দেখা যায়। কেহ আবার এর চেয়ে কম চালও পেয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। চাকামইয়া ভিজিডি চাল বিতরণের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে চাল বিতরণ করতে দেখা যায়।
জনপ্রতি ৩০ কেজি চালের বস্তা দেয়ার কথা থাকলেও বালতি দিয়ে মাপ ছাড়া চাল দিতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে জনপ্রতি যেপরিমাণ চাল পাওয়ার কথা তা তারা পাচ্ছে না। ভিজিডি চাল নিতে আসা ইউনিয়নের উত্তর চাকামইয়া গ্রামের আ: মান্নান, শহিদুল ও ফজলু কাজীসহ একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, সরকার আমাদের ৩০ কেজি করে ভিজিডি চাল দেয়ার কথা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা তা পাচ্ছি না। কোন নির্দিষ্ট মাপ ছাড়াই আমাদের বালতি দিয়ে মেপে চাল দেয়া হয়। তাই একেক জনের ভাগ্যে একেক পরিমাপের চাল পড়ে। তারা কেহ ২০ কেজি, কেহ ২৫ কেজি আবার কেহ তার চেয়েও কম চাল পেয়েছে বলে জানান। অনেকের অভিযোগ চাল পরিমাণে কম দেয়ার জন্যই তারা ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে বন্ধের দিনটি বেছে নিয়েছে।
এবিষয়ে চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. কেরামত হাওলাদার জানান, আমি ভিজিডি চাল বিতরণ বাবদ ১৯১ বস্তায় মোট ৯৮৪০ কেজি চাল সরকারী গোডাউন হতে ছাড়িয়েছি এবং তার সুষ্ঠ বন্ঠন প্রক্রিয়া চলছিল। চাল ছাড়িয়ে নেয়ার পর আমার একটি শত্রু পক্ষ সেখান হতে চাল কমিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। চাল কম দেয়ার বিষয়টি সত্যনয় বলে তিনি দাবী করেন।
চাকামইয়া ইউনিয়নের ভিজিডি চাল বিতরণের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, চাল বিতরণের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এবিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ দিবো।
কলাপাড়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাস জানান, চাল বিতরণের অনিয়মের বিষয়টি আমি শোনার পর ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে চাল বিতরণ বন্ধ রেখেছি। তদন্তসাপেক্ষে এবিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Copyright © 2024 আপন নিউজ. All rights reserved.