মোঃ এনামুল হকঃ কলাপাড়ায় মাদ্রসা শিক্ষার্থী অপহরনের ৭০দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সেচ্ছায় কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ। আসামী মোঃ হাসিব হাওলাদার (২১) এর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল কারাগারেও ভিকটিম সাবিনা আকতারকে সেইফহোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, মহিপুর থানার আলীপুর বন্দরের মোঃ ইউসুফ হাওলাদার এর কন্যা মোসাঃ সাবিনা আকতার উম্মে কুলসুম দারুস সালাম হাফেজী কওমী মহিলা মাদরাসার শিক্ষার্থীকে একই এলাকার মোঃ সিদ্ধিকুর রহমান এর পুত্র মোঃ হাসিব হাওলাদার মাদ্রাসায় আসা- যাওয়ার সময় বিভিন্নভাবে ফুসলাইয়া প্রেম নিবেদন করেন।সাবিনা আকতার তাতে রাজি না হওয়ায় পরে তাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে বিফল হয়েছে।পরে হাসিব হাওলাদার তার দলবলসহ ১ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার সন্ধায় ইউসুফ হাওলাদার বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর থেকে জোর পূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়।এ ব্যাপারে ইউসুফ হাওলাদার বাদী হযে সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র মোঃ হাসিব হাওলাদার (২১), মহববত হাওলাদার এর পুত্র মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (৫০) তার স্রী ফাতেমা বেগম (৪৫), ইলিয়াস খানের স্রী শিরিন বেগম (২৮), সোবাহান হাওলাদার এর স্রী মোসাঃ খাদিজা বেগম (৪৮) কে আসামী করে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামী দীর্ঘ ৭০ দিন পলাতক থাকার পর ১১ এপ্রিল সোমবার আসামী হাসিব হাওলাদার ও ভিকটিম সাবিনা আকতার সেচ্ছায় আত্নসমর্পণের বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে বিচারক আসামী হাসিব হাওলাদার এর জামিন নামঞ্জুর করে জেল কারাগারে ও ভিকটিম সাবিনা আকতারকে সেইফহোম এ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ভিকটিমের বাবা জানান, তার মেয়ে সাবিনা আকতার ২০০৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী জম্ম গ্রহন করেছে। সেই হিসেবে তার মেয়ের বয়স ১৫ বছর এক মাস ১৮ দিন। তার নাবালক মেয়েকে আসামীরা জোর পুর্বক অপহরন করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করেছে। তার মেয়ে অপহরনে মামলা দায়ের করার ৬৯ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ভিকটিম সাবিনা আকতারকে উদ্ধার করতে পারেনি।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলা রুজু হওয়ার আগ থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ ভিকটিমসহ আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে আসামী ইলিয়াস খানের স্ত্রী শিরিন বেগম (২৮) কে গ্রেফতার করেছে গত ২ ফেব্রুয়ারী কোর্টে সোপর্দ করেছেন। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।