চঞ্চল সাহা।। কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার একজন পুলিশ উপ-পরিদর্শক ও সাত কনেষ্টেবলের উপর হামলার ঘটনায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনকে আসামী করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জুন) সকালে মহিপুর থানার এস আই মো. হালিম হাওলাদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ আব্দুল জলিল ঘরামী নামে মামলার প্রধান আসামীকে আটক করেছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে গত বুধবার ইউ,পি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শুক্রবার দুপুরে ২ নাম্বার ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা বিজয়ী মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা চালায় । বিষয়টি বিজয়ী প্রার্থী মো.আবুল কোম্পানী মহিপুর থানাকে অবহিত করলে পুলিশ পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক খলিল নামে একজনকে আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অন্ততঃ দুই শতাধিক নারী পুরুষ আসামী খলিল ঘরামীকে ছিনিয়ে নিতে মহিপুর থানা ঘেরাও করে থানা ভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে । এসময় পুলিশ তাদের থানা চত্বর ত্যাগের নির্দেশ দিলে তাদের উপরও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে এস,আই হালিম, কনেষ্টবেল মিলন, ওবায়দুল, আফজাল, শিলা, নাসরীন সহ অন্ততঃ ৮ জন আহত হয়। পরক্ষনে শুক্রবার বিকেলে অর্ধশত নারীরা শেখ রাসেল সেতুর উপর অবস্থান ধর্মঘট করলে কুয়াকাটা-বরিশাল রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
মহিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, আসামী ছিনতাই করতে এসে পুলিশের এস,আই সহ অন্ততঃ ৮ সদস্যর উপর হামলা করেছে। ইতিমধ্যে হামলার নেতৃত্বদানকারী আবদুল জলিল ঘরামীকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।