বিশেষ প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রকাশ্যে ড্রেজার মেশিন
দিয়ে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকীর মুখে পড়েছে কৃষিজমি, বসতবাড়ি, হাট-বাজারসহ নানা স্থাপনা। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ সংশ্লিষ্ট বিভাগে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোন ফল হয়নি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়া গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রামনাবাদ নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের জমি ও বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান, আলমগীর হাওলাদার, কুদ্দুছ হাওলাদার ও ইমাম হোসেন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সরকারি ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। থাকার ঘর, কৃষিজমি ও স্থানীয় বাজার হুমকীর মুখে পড়েছে।
শীঘ্রই এই ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে বদলে যেতে পারে প্রাকৃতিক পরিবেশ।
মুক্তিযোদ্ধা মো. নিজাম উদ্দিন তালুকদার জানান, প্রভাবশালীরা ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে এভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন করলে সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়া গ্রামসহ গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী গ্রামই একদিন নদী গর্ভে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
গলাচিপা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাদি জানান, এভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে চরখালী, পক্ষিয়া ও বোয়ালিয়া গ্রাম দু’ এক মাসের মধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার থেকে তাদেরকে সাগরের ডুবোচর এলাকায় গিয়ে বালু উত্তোলন করতে বলা হয়েছে।