চঞ্চল সাহা: কলাপাড়ায় চারটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামে বুধবার রাতে ডাকাত আতংক দেখা দিয়েছে। এসব ইউনিয়নের সকল মসজিদ থেকে জনগনকে সর্তক থাকার জন্য মাইকিং করা হয়। এতে হাজার হাজার মানুষ রাত জেগে পাহারা দিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্ততঃ চারটি টিম ওই ইউনিয়ন গুলোর গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাধারন মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য সারা রাত পুলিশী টহল অব্যাহত রেখেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পাশ্ববর্তী উপজেলা আমতলীতে ২৫ /৩০ জনের একজন ডাকাত ঢুকে পড়েছে। এমনি গুজব কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়ন, চম্পাপুর, টিয়াখালী এবং চাকামইয়া ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। ছড়িয়ে পড়ে আতংক। এতে এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ এবং থানা পুলিশের নির্দেশে সকল মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে মাইকিং করে সর্তক করে দেয়া হয়। ফলে সারারাত মানুষ র্নিঘুম রাত কাটিয়ে গ্রামের পর গ্রাম পাহাড়া দিয়েছেন।
টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা জানান, অন্ততঃ দুই মাস আগে থেকে বড় ধরনের একটি চক্র এ এলাকায় হানা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের সাথে স্থানীয় লোকজন জড়িত রয়েছে। বুধবার রাতে ডাকাত আতংকে মানুষ সারারাত জেগে তার ইউনিয়নে পাহাড়া দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রিয়াজ তালুকদার জানান, রাত ১১ টার দিকে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সকল মসজিদ এবং মাদ্রাসা থেকে সর্তকতার মাইকিং করা হয়।
চম্পাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.রিন্টু তালুকদার জানান, ইউনিয়নের সকল চৌকিদার নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার এলাকায়ও মসজিদে মসজিদে মানুষকে সর্তক করে মাইকিং করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, থানা থেকে দু’টি টিম ভাগ হয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে পুলিশী টহল অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া সাধারন মানুষ যারা নির্দোষ, কোন কারনে বেশী রাতেও চলাফেরা করেন, তারা যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য পুলিশ তৎপর ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে,গত একমাস ধরে কলাপাড়া পৌরশহর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসা-বাড়ীতে চুরি লেগেই আছে। এসব চোরেরা রাতে চুরি ছাড়াও দিনে-দুপুরে চুরি করে আসছে বলে ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে।