চঞ্চল সাহা: কলাপাড়ায় পৌরশহরের জনবহুল এলাকা মনোহরীপট্রি সহ নতুন বাজার এলাকার একাধিক সড়ক মোটর সাইকেল দিয়ে আটকে রাখায় জন দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক শ্রেনীর ভাড়াটিয়া মোটর সাইকেল চালকের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত মোটর সাইকেল দিয়ে সড়ক আটকে রাখায় এ জন দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। জন দূর্ভোগ নিরসনে পৌর মেয়র একবার মাইকিং করে সর্তক করে দিলেও তা কানে তুলছে না চালকরা। ফলে প্রতিদিনই এ জনদূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
জানা গেছে, কলাপাড়া পৌরশহর সহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অন্ততঃ দুই সহ¯্রাধিক মোটর সাইকেল এবং ১২ থেকে ১৫ শত ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এসব যানবাহনের মধ্যে অর্ধেকের বেশী চলাচল করছে পৌরশহরে বিভিন্ন এলাকায়। এ যান চালকরা যাত্রীদের আশায় পৌরশহরের মনোহরীপট্রি, নতুন বাজার, কুমারপট্রি, স্বর্নকারপট্রি, কাপুড়িয়াপট্রি এলাকার সড়কের মধ্যে এমনকি সড়কের দু’পাশ জুড়ে মোটরসাইকেল দিয়ে সড়ক আটকে রাখা হচ্ছে । এতে প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে । এ নিয়ে চালক এবং যাত্রীদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ,হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। এতে পথচারী সহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
ভুক্তভোগি পথচারী আনিচুর রহমান জানান, পৌরশহরের যান-বাহন চলাচলে কোন শৃংখলা নেই, যে যার মত করেই চলছে। স্থানীয় প্রশাসনও দেখছে না বিষয়টি।
ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল চালক মিজানুর রহমান জানান, সব ইউনিয়ন থেকে মানুষ পৌরএলাকায় আসে কোন না কোন কাজের জন্য। যাত্রী নিশ্চিত করতে তারা সড়কে পাশে অবস্থান নেন ।
অপর এক মোটর সাইকেল চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন’ মোটর সাইকেল চালকদের নির্ধারিত ষ্ট্যান্ড থাকা সত্বেও তারা সিরিয়ালের সময় ক্ষেপনের ভয়ে ঘুরে ঘুরে যাত্রী সংগ্রহ করছেন। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় সড়কে অবস্থান করতে হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো.হুমায়ুন কবির জানান, সড়কে মোটর সাইকেল না রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। অপরদিকে, মাইকিংও করা হয়েছে। প্রয়োজনে জনগনের সুবিধা হয় এমন আরো পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।