রাসেল মোল্লাঃ কলাপাড়ায় হাসানুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি একই সময়ে তিন কলেজে চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি একই সাথে উপজেলার ধানখালী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের প্রভাষক, কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও একই সাথে ড. মো. শহিদুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষের দায়িত্বরত অবস্থায় উক্ত কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও কলেজ সভাপতির স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মো. হাসানুজ্জামান ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে অদ্যবধি উপজেলার ধানখালী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে প্রভাষক হিসেবে প্রতিমাসে সরকারী বেতন উত্তোলন করেন। এরআগে ২০১৪ সালে কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং এই কলেজের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অন্যদিকে হাসানুজ্জামানের গ্রামের বাড়ী আমতলীর ড. মো. শহিদুল ইসলাম কলেজে ওই বছরই কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালের ৬ জুলাই কলেজটি এমপিওভূক্ত হলে হাসানুজ্জামান অধ্যক্ষ পদের লোভে পড়ে যায়। বর্তমানে সে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে ড. মো. শহিদুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ পদ দাবী করছেন। যা পুরোপুরি অবৈধ ও নিয়মবহির্ভূত একটি বিষয়। অভিযোগকারী আরোও বলেন, ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত সোয়া দুইটার দিকে ড. মো. শহিদুল ইসলাম কলেজের অফিস কক্ষ ভেঙ্গে অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, রেজিষ্টার খাতা, হাজিরা খাতা ও রেজুলেশন খাতাসহ প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র হাসানুজ্জামান নিয়ে যায়। এবিষয়ে তৎকালীন সময়ে আমতলী থানায় সাধারন ডায়রী (নম্বর-১৪৩) করা হয়।
তবে উপরোক্তি বিষয়গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও বানোয়াট বলে মো. হাসানুজ্জামান বলেন, আমি কোন সময়ে এক সাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করিনি। একটি কুচক্রিমহল সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার পিছনে লেগেছে।