আপন নিউজ অফিসঃ যৌথ মালিকানার ব্রিক ফিল্ডের লভ্যাংশ থেকে ৭১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি মহিপুরের ব্যবসায়ী সোহাগ মৃধা (৪২) আদালতের নির্দেশে হাজতবাস করছেন। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বৃহস্পতিবার তাকে হাজতবাসের নির্দেশ দেন।
এর আগে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় সোহাগ মৃধাকে মহিপুর থানা পুলিশ বুধবার গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিার আদালতে সোপর্দ করলে জামিন না মঞ্জুর করে হাজতবাসের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
এর আগে ২০২২ সালের ২০ মার্চ নজীবপুর গ্রামের বাসীন্দা আঃ রশীদ হাওলাদার কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যবসায়ীক পার্টনার সোহাগ মৃধাকে আসামি করে ৩২১/২০২২ মামলা করেন। মামলায় বলা হয়েছে, তারা চারজনে নিজামপুরে একটি ব্রিকফিল্ড করেন। ওই ব্যবসার ১৮ শতাংশ মালিক আসামি সোহাগ মৃধা। আসামিকে ব্রিক ফিল্ডটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। ব্যবসায় হিসেবান্তে ২০২০-২০২১ সালে ৮৭ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেখানো হয়। এর থেকে আসামির লাভের অংশ বাদ দিয়ে বাকি ৭১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পার্টনারদের না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে টাকা না দেয়ার কথা জানিয়ে দেয়। বিজ্ঞ আদালত সিআইডি পটুয়াখালী জেলা প্রধানকে ৪০দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন। ২০২২ সালের ২৭ জুলাই আদালতে রিপোর্ট দাখিল করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে বাদির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে বাদী আব্দুর রশীদ তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দরখাস্ত করলে বিজ্ঞ আদালত দরখাস্ত না মঞ্জুর করে খারিজ করে দেন।
ফলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বাদী আব্দুর রশীদ পটুয়াখালী সিনিয়র সেশন জজ আদালতে ৩২১/২০২২ মামলার আদেশের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২ মে ফৌজধারী রিভিশন মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত রিভিশন মামলাটি মঞ্জুর করেন।
কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২০২২ সালের ৭ আগস্টের আদেশ রদ ও রহিত করেন। পরবর্তিতে আদালত ৫ জুন আসামি সোহাগ মৃধার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।