আমতলী প্রতিনিধিঃ আমতলী উপজেলার ছাত্রলীগের বহিস্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চিহিৃত কিশোর গ্যাং লিডার ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা বিহারী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাতদিন পর সোমবার আহত উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি এইচএম মঞ্জুরুল ইসলাম রিফাতের চাচা আব্দুল বারেক হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
জানাগেছে, উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি এইচএম মঞ্জুরুল ইসলাম রিফাত ২৩ অক্টোবর রাতে বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুনাম দেবনাথের সঙ্গে পৌর শহরের সদর রোডের সার্বজনীন কেন্দ্রীয় মন্দিরে যান। মন্দির থেকে বের হলেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর গ্যাং লিডার ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা বিহারী ও তার সহযোগী রাহাত মৃধাসহ ১০-১২ জন রিফাতের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রিফাতের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। রিফাতকে রক্ষায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে তাদেরও ওপর কিশোর গ্যাংরা হামলা চালায়। তাদের হামলায় শহীদুল ইসলাম, মেহেদী ও রাহাত নামের আরো তিনজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়।
এ ঘটনার ৭ দিন পর অর্থ্যাৎ সোমবার আহত উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি এইচএম মঞ্জুরুল ইসলাম রিফাতের চাচা বারেক হাওলাদার বাদী হয়ে উপজেলার ছাত্রলীগের বহিস্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চিহিৃত কিশোর গ্যাং লিডার ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা বিহারীকে প্রধান আসামী করে চারজনের নাম উল্লেখ করে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কিশোর গ্যাং লিডার ত্বোহার বিরুদ্ধে আমতলী থানায় আরো পাঁচটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার পরপর ত্বোহা পলাতক রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যহত আছে।