আমতলী প্রতিনিধিঃ অনশন ভেঙ্গে প্রাইভেট শিক্ষক আল মামুনের বিরুদ্ধে ধ র্ষ ণ মামলা করেছে এক ছাত্রীর বাবা। বুধবার রাতে তালতলী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত লম্পট শিক্ষক আল মামুনকে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন ওই ছাত্রী এবং এলাকাবাসী। পুলিশ হেফাজতে বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
জানাগেছে, গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তালুকদারপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে প্রাইভেট শিক্ষক আল-মামুনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন বসে এক ছাত্রী। বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যার হুমকি দেয়। কিন্তু তিন দিন পেরিয়ে গেলেও আল মামুন ও তার পরিবার বিয়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে অনশন ভেঙ্গে ফেলে ওই ছাত্রী। বুধবার রাতে ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে তালতলী থানায় আল মামুনকে প্রধান আসামী করে দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ছাত্রীর অভিযোগ বিয়ের কথা বলে শিক্ষক আল মামুন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন বিয়ে করবে না বলে টালবাহানা করতে থাকে। ওই ছাত্রী আল মামুনের বাড়ীতে অনশনে আসার খবর পেয়ে শিক্ষক গা-ঢাকা দিয়েছে। গত তিন দিনে তার হদিস পাওয়া যায়নি।
ওই ছাত্রী বলেন, তিন দিন অনশনের পরেও আল মামুন ও তার পরিবার বিয়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়নি। পরে আমি অনশন ভেঙ্গে ভেঙ্গেছি। এ ঘটনায় আমার বাবা বাদী হয়ে আল মামুনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
লম্পট শিক্ষক আল মামুনের বাবা আমির হোসেন বলেন, ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। কার সঙ্গে বিয়ে দেব? শুনেছি মেয়ের পরিবার মামলা করেছে। এখন যা হবার তাই হবে।
মামলার বাদী বলেন, মান ইজ্জত আর কিছুই রইলো না। একেবারে নিরুপায় হয়েই মামলা করেছি। তিনি আরো বলেন, আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম খাঁন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামুনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে পুলিশ হেফাজতে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আসামী গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যহত আছে।