উত্তম কুমার, বাউফলঃ বাউফলের কালাইয়া হায়াতুন্নেচ্ছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থী হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বৃহষ্পতিবার বেলা ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না দিয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়ি গিয়ে কবিতা, হাসিবা, শ্রীময়ন্তী, মারিয়া, সেতু, ফাইয়না, সামিয়া, মারিয়া, জান্নাত, মাহিয়ানি নামের ১০ শিক্ষার্থী পুনরায় অসুস্থ হয়ে পরলে তাদেরকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অনেক শিক্ষকই স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুর ১ টার দিকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফিফা আক্তার নূহা শ্রেণি কক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর পরপরই একই শ্রেণির অনিমা, ফাতেমা, মারিয়া, হাসিবা, পায়েল, শ্রীময়ন্তী, মরিয়ম, আজমিন এবং ৯বম শ্রেণির লিয়া লামিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় স্কুলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীরা যে যার মতো করে রিক্সা-অটোতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল। বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় শিক্ষার্থীদের কান্নাকাটি দেখে অভিভাবকসহ সাংবাদিকরা স্কুলে উপস্থিত হন। সেখানে দেখা গেছে, একাধিক শিক্ষার্থী মাঠে গড়াগড়ি করে কান্নাকাটি করছে। সহপাঠীরা মাথায় পানি দিচ্ছে। কেউ বাড়ি ফেরার জন্য রিক্সা খুঁজছে।
অসুস্থ কয়েক শিক্ষার্থীরা জানান, সপ্তম শ্রেণি কক্ষে প্রথমে বিশ্রি গন্ধ পাওয়া যায়। এরপরই তাদের মাথা ঘুরাচ্ছিল, বমিবমি ভাব হচ্ছিল। এরপরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেলা ২ টার দিকেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন চিকিৎসককে খবর দিয়ে স্কুলে আনেননি। এসময় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক পাঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিকা জানান, বিষয়টি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে জানালে তারা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে বেলা ৩ টার দিকে বাড়ি পাঠানো ও স্কুল থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মার্জান জানান, এক শিক্ষার্থী অন্য কোন কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ভীতি ছড়িয়ে পড়ে । এসময় তারাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার সময় স্কুলের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।