গোফরান পলাশঃ
কলাপাড়ায় বিধবা সেজে জালিয়াতির মাধ্যমে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী কামাল মল্লিক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ আনেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া নারীউন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. শাহীনা
পারভীন সীমা, ফোরামের সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্যবৃন্দ সহ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা। কামাল মল্লিকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোসা. বিউটি বেগম।
লিখিত বক্তব্যে কামাল মল্লিক জানান, ৬ নং মহিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জব্বার দর্জীর স্ত্রী মোসা. রাশিদা বেগম স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারী খাস জমি বন্দোবস্ত নিয়েছে। কেননা রাশিদা বেগমের প্রথম স্বামী জামাল গাজী ২০০১ সালে মৃত্যুবরণ করে। এরপর ২০০৫ সালে রাশিদা বেগম মো. জব্বার দর্জীর সাথে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। অথচ ২০১২ সালে রাশিদা বেগম প্রথম স্বামী মো. জামাল গাজীর নাম ব্যবহার করে বিধবা সেজে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারী জমি বন্দোবস্ত নেয়। যার বন্দোবস্ত কেস নম্বর ১৩ কে/২০১১-১২, যার দলিল নম্বর ৫৮১৫/১২। কিন্তু বন্দোবস্ত পাওয়া জমির চেয়ে অনেক বেশি জমি দখল করে রেখেছেন রাশিদা বেগম। যা মহিপুর তহশিল অফিসের লোকজন মাপজোক করে রাশিদার জমির চৌহদ্দি দিয়ে দেন। এরপরও কামালকে হয়রাণি করা হচ্ছে।
কামাল মল্লিক সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, সরকারি খাস জমির ওপর ২০ বছরের বসতি থেকেও উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে নেমেছে পড়শি রাশিদা বেগমসহ স্থানীয় একটি চক্র। যারা তাদেরকে চাঁদাবাজি, মাদক মামলার পরে এবারে মাছ চুরির কথিত মামলায় আসামি করার পাঁয়তারা করছে। অতি সম্প্রতি কামালের স্ত্রী হালিমা বেগমকে ওই চক্র মারধর করেছে। এখন ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের চক্রান্ত করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের চলাচলের পথে কাটা পুঁতে রাখা হয়। একমাত্রছেলে মাদ্রাসা ছাত্র গোলাম রাব্বি এবং শিশুকন্যা জিদনিকে নিয়ে দিনমজুর এ পরিবারটি চরম বিপাকে পড়েছেন।
অভিযুক্ত রাশিদা বেগমের দাবি তিনি কাউকে হয়রাণি করছেন না। তার লাখ লাখ টাকার চাষ করা মাছ যারা মেরে ফেলেছে তার প্রতিকার চাইছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা নারী ফোরামের সভাপতি সীমা পারভীন, সদস্য কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, সদস্য বিউটি বেগম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সকলকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
কলাপাড়া ইউএনও মো: মুনিবুর রহমান বলেন, ভুয়া বন্দোবস্ত পাওয়ার বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। সংশ্লিষ্ট তহশিলকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।