আপন নিউজ অফিসঃ কলাপাড়ায় চালের মিলের ফেলে রাখা আগুনে পড়ে তৃতীয় শ্রেণীর দুই ছাত্র মর্মান্তিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। আহতরা হলেন, ওসমান গণি (৯) ও সৈয়দ মুশফিকুর রহমান (৮)। তারা উভয়ই ঢাকা বার্ন ইউনিটি চিকিৎসারত রয়েছে। কলাপাড়া পৌরসভার বাদুরতলী ৯ নং ওয়ার্ডের পান্নু সিকদারের চালের মিলের সামনের মাঠে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এবিষয়ে শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় আহত ওসমান গণির বাবা জুয়েল চৌধুরী বাদী হয়ে খোলা ও অনুমোদিত স্থানে আগুন রাখার অভিযোগে ছোমেদ ব্যাপারীসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, কলাপাড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জুয়েল চৌধুরীর ছেলে আহত ওসমান গণি স্থানীয় কুমারপট্টি মাদ্রায় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। অপরদিকে অভিযুক্ত ছোমেদ ব্যাপারী, মাসুদ হাওলাদার ও সাগর হাওলাদার ওই এলাকায় চালের মিলের ব্যবসায়ী। তারা ধান সিদ্ধ করে সেই চুলার আগুন যত্রতত্র খোলা ও অনুমোদিত জায়গা অবহেলায় রেখে দেয়। ঘটনার দিন গত ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরের দিকে আহত ওসমান গণি ও সৈয়দ মুশফিকুর রহমান দুজনে মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার সময় তাদের রেখে দেয়া আগুনে পড়ে মর্মান্তিক অগ্নিদগ্ধ হয়। এতে তাদের দুজনেরই পায়ের হাঁটু পর্যন্ত পুড়ে রক্তাক্ত জখম ও সেখানকার চামড়া উঠে যায়। তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল হাসপাতাল হয়ে ঢাকা বার্ন ইউনিটি নিয়ে ভর্তী করা হয়। যাদের অবহেলা ও খামখেয়ালীপনায় উন্মুক্ত ও খোলা স্থানে চুলার আগুন রাখায় দুটি নাবালক শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়েছে তাদের নেই কোন অনুশোচনা। উল্টো এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিলে আহতের পরিবারকে খুন ও জখমের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগকারী জানান।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ছোমেদ ব্যাপারী বলেন, “চুলার আগুন বায়রাকূলে নদীর পাড়ে ফালাই। সেখানে গিয়ে কেহ আগুনে পড়লে আমি কি করবো।”
কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলি আহম্মেদ বলেন, অভিযোগ ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।