আমতলী প্রতিনিধিঃ ফেসবুক আইডি থেকে প্রেমের টানে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার তুলাই শিমুল এলাকা থেকে তালতলী উপজেলায় ছুটে আসেন আলআবি মৃধা নামের এক যুবক। এসে জানতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ফেসবুকে যে নামের আইডির সাথে কথা বলছেন তিনি, সেই নামের নারী বিবাহিত ও এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ কিছুই জানে না। পরে পুলিশ তাকে পুলিশি হেফাজতে থাকায় নিয়ে আসে। বুধবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাকে তার মা খোরশেদা বেগমের জিম্মায় দিয়ে দেয় । মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আখাউড়া উপজেলার কলেজ পড়ুয়া এক যুবকের সাথে বরগুনার তালতলী উপজেলার নায়াপাড়া এলাকার এক কিশোরীর সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয়। আলাপের মাধ্যমে দুজনের মধ্যে প্রেম হয়। প্রেমের টানে ওই কিশোর বান্ধবীকে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন তালতলীতে।
ভুক্তভোগী প্রেমিক আলআবি মৃধা বলেন, ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে আরিফা ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। এর পর ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তার সাথে মেসেজ সব সময় কথা হয়েছে। তার ফেসবুক আইডির নাম ছিল (আরিফা ইসলাম) সে আমাকে আসতে বলেছে আমি এই এলাকায় এসেছি তার সাথে দেখা করতে। আমি এসে জানতে পারি ওটা একটি ফেক আইডি ছিলো। রাতে আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলো স্থানীয়রা। পরের দিন সকালে পুলিশ আমাকে আটক করে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর বলেন, রাতে ওই ছেলে তার প্রেমিকাকে দেখার জন্য এলাকায় আসে। পরে আমরা বিষয়টি শুনে তাকে বলেছি, তিনি যে মেয়ের জন্য এসেছেন সেই মেয়ে বিবাহিত এবং এখানে থাকে না শ্বশুর বাড়ী থাকে।
ওই গৃহবধুর শ্বশুর আবুল মিয়া বলেন, কে বা কারা ফেসবুকে আমার ছেলের স্ত্রীর ছবি নাম ব্যবহার করে ওই ছেলের সাথে কথা বলেছে। আমর ছেলের বউ এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।
ভুক্তভোগী আলআবি মৃধার মা খোরশেদা বেগম বলেন, আমার ছেলের তালতলীতে এসে ফেসবুকে ফেইক আইডির প্রতারণা শিকার হয়েছে। আমি খবর শুনে এসেছি। আমার ছেলে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে আমার কোন অভিযোগ নেই।
তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম খাঁন বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা থেকে এক যুবক এসেছেন তার প্রেমিকাকার সাথে দেখা করতে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে পুলিশি হেফাজতে থানায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার ওই যুবকের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তার মা ও বোনের নিজ জিম্মায় আলআবি মৃধাকে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।