আমতলী প্রতিনিধিঃ আমতলীতে হিরণ গাজী হত্যা মামলার প্রধান আসামী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই রাতেই এ ঘটনায় নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর পরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জানাগেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গত বুধবার রাত ১১ টার দিকে আবুল বাশার নয়ন মৃধা তার সমর্থক সোহাগ প্যাদা, ইউসুফ, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৪০-৪৫ জন পুর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এ সময় মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে টাকা দিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নয়ন মৃধার সমর্থকরা। এক পর্যায় আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৬-৭ জন তাকে ছুিরকাঘাত করে। ওই ছুরিকাঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক হিরনের সহযোগী মিলন সরদার, ও দেলোয়ার সরদারসহ ১০/১২ জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত হিরন গাজীর স্ত্রীর তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের নামে আমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই ওইদিন রাতে মামলার প্রধান আসামী আবুল বাশার নয়ন মৃধা, সোহাগ প্যাদা, মাহবুব, মেহেদী ও গোলাম কিবরিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার পুলিশ তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, হিরন হত্যা মামলার প্রধান আসামী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।