আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার বিদেশ ফেরত কেউ হোমকোয়ারেন্টাইনে মানছেন না। তারা নিজেদের ইচ্ছা মত চলাফেরা করছে। এতে গ্রামা লে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন ১’শ ১৮ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বাস্তাবে অনেকেই হোমেকোয়ারেন্টাইনে থাকছে না। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা হাট-বাজার, বন্ধুদের আড্ডায় ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এমন দাবী স্থানীয়দের।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের মাধ্যামে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরেছে। প্রবাসীদের মাধ্যমে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়াতে না পারে সে লক্ষে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। যারা প্রবাস থেকে দেশে ফিরছেন তাদের বাড়ীতে এসে হোমকোয়ারেন্টানে ১৪ দিন থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার। গত পয়েলা মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত বরগুনার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১’শ ৪৩ জন বিদেশ থেকে এসেছেন। এদের মধ্যে ১’শ ১৮ জনকে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ হোমকোয়ারেনন্টাইনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা হাট-বাজার, বন্ধুদের আড্ডায় ও আত্মীয় স্¦জনের বাড়ীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। প্রশাসনের খবর পেলেই দ্রæত তারা হোমকোয়ারেন্টাইনে আসছেন। কিন্তু বাস্তবে কেউ হোমকোয়ারেন্টাইন থাকছে না।
রবিবার খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘোছখালী গ্রামের ইসহাক হাওলাদারের ছেলে মালায়েশিয়া ফেরত নাশির হাওলাদার, কলাগাছিয়া গ্রামের সৌদি ফেরত আলী আকবর ও ডালাচারা গ্রামের আব্দুস ছালাম হোমকোয়ারেন্টাইনে না থেকে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ী ও হাট বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চিলা গ্রামের মোস্তফা আকনের ছেলে ওমান ফেরত মিরাজ আকন হোমকোয়ারেন্টাইনে না থেকে প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন।
কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের গনি খলিফার ছেলে সৌদি ফেরত মুছা খলিফা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের কথা মানছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদেশ ফেরত কয়েকজন বলেন, আমরাতো বিমান বন্দর থেকে চেক হয়ে এসেছি। তারপর কি কারনে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারা আরো বলেন, একটি বন্ধ ঘরে কিভাবে এতো দিন থাকা যায়?
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, আমতলীতে বিদেশ ফেরত ১’শ ৪৩ জন এসেছেন। এর মধ্যে ১’শ১৮ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাকী ২৫ জন অন্য জেলা ও উপজেলায় বসবাস করছে। সরকারী নির্দেশনামত তাদের ১৪ দিন হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বিদেশ ফেরতরা হোমকোয়ারেন্টাইনে না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, বিদেশ ফেরতরা হোমকোয়ারেন্টাইনে না থেকে গ্রামা লের বিপদ ডেকে আনছেন। নিজেদের পরিবারকে রক্ষায়ও তাদের হোমকোয়ারেন্টইনে থাকা উচিত।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, হোমকোয়ারেন্টাইনে না থেকে বিদেশ ফেরতরা বাহিরে ঘুরাফেরা করলে তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ২৬৯ ধারা মতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply