বিশেষ আপন নিউজ প্রতিবেদকঃ
প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমন এড়াতে দেশজুড়ে লকডাউন চলমান থাকলেও কলাপাড়ায় সচেতনতার অভাবে গ্রামীন জনপদের মানুষ মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভ্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া’র নির্দেশনা মানছেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাও মানছেন না। প্রশাসন সহ সেনা সদস্যরা শহরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রচারনা চালালেও গ্রামে কোন প্রচারনা নেই। এতে গ্রামীন হাট-বাজারে মানুষের সমাগম বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামে জমজমাট ভাবে চলছে সাপ্তাহিক হাট-বাজার গুলো।
চায়ের ষ্টল গুলোতে চলছে আড্ডা। ইট ভাটার মালিকরা শত শত শ্রমিকদের দিয়ে অনিরাপদ ভাবে ভাটার কার্যক্রম চালু রেখেছেন। প্রতিনিয়ত অর্ধ শতাধিক শ্রমিক ভাটায় জড়ো হয়ে ট্রলার কিংবা ট্রলিতে ইট লোড-আনলোড করছে। একইভাবে
বালু বিক্রির গদি গুলোতেও শতাধিক শ্রমিক দ্বারা বালুর জাহাজে লোড-আনলোড সহ ইমারত নির্মান সাইডে বালু সরবরাহ করা হচ্ছে।
অপরদিকে লকডাউন চলমান থাকায় চাল, ডাল, তেল, আলু, লবন, পেঁয়াজ, সাবান সম্মিলিত প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা মানুষের জীবনে নতুন আলোর সঞ্চার করেছে। সরকারের এ খাদ্য সহায়তা অপ্রতুল হলেও ক্ষুধার্ত মানুষ গুলোর আক্ষেপ নেই। খাদ্য সহায়তা বাড়ী বাড়ী পৌঁছে না দিয়ে বিতরন অনুষ্ঠান করে ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দাড় করিয়ে এক শ্রেনীর ফটোশেসনকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ত্রান বিতরনের প্রচার চালাচ্ছে।
বিভিন্ন সংগঠনের নামে যৎসামান্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে প্রচারনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এক শেনীর মানুষ। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি সাবান ৫জনে বিতরন করছে এক ষোড়শীর হাতে। এমনকি বিতরন কালে ওই নারীর হাত ধরে ছবি তুলেছে বিতরনকারীরা।
কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, গ্রামীন হাট-বাজারগুলোতে গিয়ে জনসমাগম বন্ধ করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনায় মাইকিং করা হচ্ছে।