পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালীর জৈনকাঠী এলাকার পীরতলা এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মা ও মেয়েকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মা ও মেয়েকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আহতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন মামলা নেয়নি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, মৃত আলী আকবরের স্ত্রী রাবেয়া (৭০) বেগম একমাত্র কন্যা কুলসুম বেগম (৩৫) কে নিয়ে আশ্রিতা হিসেবে
সদর উপজেলার পৌর শহর সংলগ্ন জৈনকাঠী এলাকায় পীরতলা এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রভাবশালী শামীম মাষ্টারের সাথে তাদের এক খন্ড জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। শামীম ক্ষমতাধর হওয়ায় বিধবা রাবেয়ার জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছিলো। গত ৩০ মার্চ বিকেল
চার টার দিকে কোন কারন ছাড়াই শামীম মাষ্টার তার ছেলে রানা (২০) ও রাব্বী (২০) রাবেয়ার মেয়ে কুলসুমের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা কুলসুম ও তার স্বামীকে ব্যাপক মারধর করে। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি সালিশ বৈঠক করে মীমাংসা করে দেবেন বলে রাবেয়ার পরিবারকে আশ্বস্ত করেন এবং থানা পুলিশকে জানাতে বাঁধা দেন।
নির্যাতনের শিকার রাবেয়া জানান, মার খাওয়ার পরেও তিনি স্থানীয় লোকজনের কথা শুনে শালিসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ১ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে আবার শামীম মাষ্টার তার ছেলেদের নিয়ে হামলা করে। তারা আমার মেয়ে কুলসুম ও আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আমরা পটুয়াখালী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি।
পটুয়াখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বয়স্ক একজন নারীকে মারধর করার বিষয়ে পুলিশ প্রয়োজনীয়।ব্যবস্থা গ্রহন করবে। কোন প্রভাবশালী মহল অন্যায় করে পার পেয়ে যেতে পারবে না বলে দাবী করেন তিনি।