বিশেষ আপন নিউজ প্রতিবেদকঃ
কলাপাড়ায় ১০টাকা কেজি দরের ওএমএস’র।চাল বিক্রি নিয়ে অনিয়মের সংবাদ গনমাধ্যমে প্রকাশের পর ওএমএস’র চাল।বিক্রীতে স্বচ্ছতা ও ডিলারদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক’র সভাপতিত্বে ইউএনও’র কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সচিব, পিআইও সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ওএমএস’র চাল বিক্রীতে অনিয়মের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওএমএস’র চাল বিক্রীতে স্বচ্ছতা ও ডিলারদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে এ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রতি ইউনিয়নের প্রকৃত সুবিধাভোগীদের সংশোধিত তালিকা তৈরী করে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
ইউএনও আর বলেন, এনিয়ে ডিলারদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক সুবিধাভোগী যাতে ৩০ কেজি করে চাল পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ডিলারদের দোকানে সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এছাড়া টিসিবি, ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ সরকারের সকল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী যাতে
সুবিধাভোগীরা কোন রকম হয়রানী ব্যতীত সঠিক সময়ে পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরনের বিষয়ে সকলকে বলা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
প্রসংগত, কলাপাড়ায় ওএমএস’র ৩২ জন ডিলার ১০টাকা কেজি দরের চাল নাম মাত্র বিক্রী করে মার্চ মাসের চাল বিক্রির খাতাপত্রের হিসাব শেষ করেছেন। অথচ তালিকাভুক্ত কার্ডধারীদের এক পঞ্চমাংশ কোন চাল পায়নি। এ চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে। কলাপাড়ায় মোট ২০ হাজার ১৫৩ কার্ডধারীর মধ্যে অন্তত: চার হাজার কার্ড রয়েছে ভুয়া। আবার তালিকায় নাম রয়েছে এমন বিত্তবানদের যারা নিজেরাও জানেন না। এছাড়া একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে, প্রভাবশালী ব্যক্তি, জন প্রতিনিধির আত্মীয়-স্বজন, বিত্তশালী শত শত মানুষের নাম রয়েছে এ তালিকায়। সুবিধাভোগীদের কাছে কার্ডগুলো থাকার কথা থাকলেও শত শত কার্ড ডিলারের কাছে থাকছে। ডিলারের দোকানে কার্ডধারীর নামের তালিকা ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশনা থাকার পরও কোন ডিলারের দোকানে এটি দৃশ্যমান পাওয়া যায়না। আর ডিলাররা অধিকাংশ ব্যবসায়ী নয়। সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।