বিশেষ আপন নিউজ প্রতিবেদকঃ
করোনা সংক্রমন এড়াতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যখন লকডাউন চলছে তখন একটি চক্র মহিপুরে সংখ্যালঘু এক পরিবারের ৬০বছরের ভোগদখলীয় জমি দখল করে ঘর নির্মান করছে। সংখ্যালঘু ওই পরিবার জমি দখলের এমন অভিযোগ লিখিত ভাবে জানালে মহিপুর থানা পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে
দেয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের পুরান মহিপুর গ্রামের সংখ্যালঘু নারায়ন সরকারের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমির কিছু অংশ ৬০ বছর পুর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিগ্রহণ করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। বেড়িবাধঁ নির্মাণ করার পর অবশিষ্ট জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেল থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন নারায়ন সরকার পরিবার। গত ৪ এপ্রিল একই গ্রামের রায়হান মীর, ফারুক মৃধা, কালাম চৌকিদার, জাহাঙ্গীর ও খলিল অবৈধভাবে জোরপূর্বক রের্কডীয় এবং বন্ধোবস্তকৃত ৩০শতাংশ জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করে। এতে বাধাঁ দিলে দখলবাজরা সংখ্যালঘু ওই পরিবারকে হুমকী ধামকি দেয়। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ এসে ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দেয়।
নারায়ন সরকার বলেন, গত ৬০ বছর যাবৎ পৈত্রিক সুত্রে এবং বন্দোবস্ত মুলে ঐ জমির ভোগদখলীয় মালিক তারা। গত ৪ এপ্রিল অবৈধভাবে জোরপূর্বক তার জমিতে প্রবেশ করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করে একটি মহল। তিনি বাঁধা দেওয়ার পর উল্টো তাকে সহ পরিবারের সদস্যদের জীবন নাশের হুমকী দেয়। পরে তিনি লিখিত ভাবে মহিপুর থানা পুলিশকে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কালাম চৌকিদার বলেন, ’আমি কারো জমি দখল করিনি। রেকর্ডীয় কোন জমি না থাকায় উপায়হীন হয়ে সরকারী জমিতে ঘর তুলছি। এখন উচ্ছেদ করা হলে পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবো।’
মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, জমি দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী প্রতিকার চাইলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।