মতামত ডেস্কঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ লকডাউন মেনে ঘরে সময় কাটাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আপনার পরিবারকে ঝুঁকি মুক্ত রাখতে ঘরকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যা করনীয়।।
★প্রথমে সব সময় হাত লাগাতে হয় এমন জিনিস যেমন মোবাইল বা টেলিফোন, টিভির রিমোট লাইটের সুইচ, টেবিল, কম্পিউটারের কিবোর্ড, দরজার হাতল, টয়লেট, আলমারি ও ওয়্যারড্রোব জীবানুনাশক দিয়ে জীবাণু মুক্ত করতে হবে। ঘরের প্রতিটি অংশ নিয়মিত সাবান কিংবা জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
★প্রতিদিন রান্না করার পরে রান্নাঘর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। বাইরে পড়ার জুতা নিয়ে ঘরে প্রবেশ করা যাবে না।
★ বাহির থেকে এসে কোনকিছু স্পর্শ করার আগে হাত সাবান বা হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে ভালোভাবে পরিস্কার করতে হবে।
★ বাহিরে ব্যবহৃত পিপিই, মাক্স ও হাতের গ্লাভস অতি সাবধানে খুলে সরাসরি সাবান দিয়ে পরিস্কার করে, রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
★বাইরে থেকে বাজার কিনে আনার ব্যাগটিকে ঘরের বাইরে রেখে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। অথবা ব্যাগটিকে জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বাহিরের অপরিষ্কার জিনিস হাত দিয়ে স্পর্শ না করা।
★বাজার বাসায় আনার পর শাকসব্জী তরিতরকারি ‘পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট’ দ্রবণে পরিষ্কার করতে হবে। এই রাসায়নিক উপাদানটি পাওয়া না গেলে ৫ থেকে ১০ মিনিট গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
★অতি প্রয়োজনে বাজারে গেলে অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। বাহির থেকে ঘরে ফিরে প্রথমে সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া এরপর বাহিরে পড়া কাপড় অতি সাবধানে বাহিরে নির্দিষ্ট ঝুড়িতে রেখে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে তারপর ধরতে হবে এবং সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, নিজেও সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে।
★ সম্পূর্ণ লকডাউনসহ সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
★ কারো বাসায় যাওয়া আসা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। লোক সমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।।
এই মহামারি থেকে কীভাবে নিরাপদে রাখা যায় এ জন্য জীবন বাজি রেখে যারা মানুষকে সচেতন করছেন, আমি তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এই মহা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেই বীর সৈনিকদের প্রশাসনসহ সকল ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সার্বক্ষণিকভাবে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন I
মো. আবু ইউসুফ (প্রভাষক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ) সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজ, খেপুপাড়া, পটুয়াখালী।