পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর বাউফলে অসহায় ও দুস্থদের চাল বিতরণ না করে খাদ্য গুদামে মজুদ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম বাউফলের কালাইয়া খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করে প্রায় ১৪১ মে. টন চাল মজুদ রাখার প্রমাণ পেয়েছেন।
চালগুলো ভিজিডি এবং ভিজিএফের বলে জানা গেছে। চালগুলো গত ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসের বরাদ্ধ ছিল। নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত মাসেই চালগুলো বিতরণ করার কথা ছিলো। মজুদ চালের মধ্যে নাজিরপুর ইউনিয়নের ৩০ মে. টন ও কেশবপুর ১০৫ মে.টন ভিজিএফের চাল (মৎস্য) এবং সূর্যমনি ৫ দশমিক ৮২ মে.টন ভিজিডির চাল রয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ডিও নেয়া হলেও তা অসহায় ও দুস্থদের মাঝে তা বিতরণ করা হয়নি। দুস্থদের ওই চালগুলো খাদ্যগুদামে মজুদ ছিল। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষগুলো যখন ত্রাণের জন্য দিশেহারা, খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছে তখন এ চাল মজুদ করে রাখার তথ্য প্রকাশ পেল।
তবে ভিজিডি ও ভিজিএফের চালগুলো বিতরণ না করে মজুদ করে রাখার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চালগুলো চলতি মাসের মধ্যে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।