এম.এ হান্নান, বাউফলঃ
বাউফলের কালাইয়া বন্দর। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ বানিজ্যিক বন্দর। সপ্তাহে সোমবার মিলে সাপ্তাহিক হাট। হাটে আসেন ভোলা,পটুয়াখালী, বরিশাল, চট্রগ্রাম, নোয়াখালী ও চাঁদপুর জেলার হাজারো মানুষ।
এ সপ্তাহের চিত্র সম্পূর্ণ অন্যরকম। এ যেনো নতুন কোন রুপ বন্দরের।
হাজার হাজার মানুষের কোলাহল নেই গো-মহিষ আর ছাগলের হাটে। বসেনি বৃহৎ ধানহাট। আসেনি কাঠের তৈরী ধুরি নৌকা। নেই মাছ বাজারে হৈহৈ। রাস্তার পাশে নেই হাজারো ভাসা দোকান। মহাজনপট্টিতে নেই পণ্য ওঠা নামার হট্টগোল। চোখে পড়েনি মানুষের অস্বাভাবিক ভীড়। শুধুমাত্র স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দাকে দেখা যায় রাস্তায়। খোলা ছিলো ঔষধের দোকান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবারের সাপ্তাহিক হাট বন্ধে মাইকপ্রচার আর কাক ডাকা ভোরে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী থাকায় এ নতুন রূপ বন্দরের। এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সরকারি বিধি ভঙ্গের দায়ে ২ হোটেল ব্যবসায়ীকে ৫'হাজার টাকা করে জরিমানা করেন সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান বালি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহ-আলম বিপ্লব জানান,' কালাইয়া বন্দর একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বন্দর। এই প্রথম কোন সাপ্তাহিক হাটের দিন এরকম চিত্র দেখলো স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক আবু সায়েম বলেন,' যেহেতু এটি একটি বৃহত্তম বন্দর। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোক সমাগম ঘটে। তাই সকালেই আমরা মানুষদের সচেতন করে বন্দরে অবস্থান করি। তবে যেরকমটা ভাবছি সেরকম না। পুরো বন্দরের সকল অলিগলি ফাঁকা। ফার্মেসি ছাড়া কোন দোকান খোলেনি।
কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম ফয়সাল আহম্মেদ জানান,' কালাইয়া বন্দরের স্বাধীনতার পর এই প্রথম জনমানবশূন্য দেখা গেলো। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধ করেছে সরকার। মানুষজন সরকারের নির্দেশ মেনে বাসায় অবস্থান করছে।'
বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান,' কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ সাপ্তাহিক হাট গুলোতে জনসমাগম বন্ধে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত আছে।
তিনি প্রতিবেদকের মাধ্যমে জনসাধারন'কে বলেন- সকলকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকেটা করার সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চত করতে হবে।