আপন নিউজ রিপোর্টঃ
কলাপাড়ায় মাসিক বেতন পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষের সশস্ত্র হামলায় শ্রমিক বেল্লাল হাওলাদারসহ সাতজন আহত হয়েছে। তার মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে । গুরুতর আহতদের মধ্যে ছলেমান হাওলাদারও তার স্ত্রী আকলিমা বেগমের অবস্থা সংকটাপন্ন।
জানা গেছে, কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের দক্ষিন চরচাপলি গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হাওলাদারের পুত্র মোঃ হেলাল হাওলাদার (২৫) গরীব বিধায় শ্রমিক হিসেবে ১০ হাজার টাকা মাসিক বেতনে একই এলাকার মৃত এক্রাম হাওলাদারের পুত্র মোঃ ইউনুচ হাওলাদারের সাথে কাজ করেন। মাস শেষে পাওনা ৫ হাজার টাকা শনিবার বেলা দশটায় চাহিলে ইউনুচ হাওলাদার নিজকে অপমানবোধ করে হেলালকে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে। এতে হেলাল হাওলাদার প্রতিবাদ করায় ইউনুচ তার বলবলসহ হেলালের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ধারালো অস্ত্রে খুন করার চেষ্টা চালায়। তখন হেলাল হাজার নিজকে রক্ষা করার জন্য আর্তচিৎকারে করলে হেলালের ভাই মোঃ ছলেমান হাওলাদার (৩২), ভাবী মোসাঃ খুকি বেগম (৩৫), বোন কুলসুম বেগম (৩৩), আকলিমা বেগম (২৫), নুরুন্নাহার (২৪), ভাই বেল্লাল এগিয়ে এসে বাঁধা দিলে সন্ত্রাসী মাসুম গাজী, ইউনুচ হাওলাদার (৫০), মোশাররফ হোসেন (৬৫), আকববার তালুকদার,(৩০), সাইমুন গাজী (২২), হোসেন আলী (৪০), মাহাতাব তালুকদার( ৩২) , বাবুলসরদার (৩০), আববাস প্যাদা (৫৫) সহ ধারালো দেশি অস্রষস্র নিয়ে হেলাল দের প্রতি সশস্ত্র হামলা চালিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে বিভিন্নভাবে শরীরে গুরুতর জখম করে। এতে ছলেমানে ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগমের অবস্হা সংকটাপন্ন দেখে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে ছলেমান কলাপাড়া হাসপাতালে বেডে কাঁদাচ্ছে। লকডাউন ও আর্থিক ধর্ন্য দশার জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে রেফার করতে পারে না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ ইউনুচ হাওলাদার বলেন, হেল্লাল আমার সাথে দিন মজুর হিসেবে কাজ করেছে বেতন টাকা পাবে সত্য এবং মোঃ মোশাররফের হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মরপিট আমরা করেছি হেল্লালের বেতন টাকা আমার কাছে পাঁচ হাজার টাকা জমা আছে, বেল্লালের মা ঝড়িনা বেগমকে খোরপোষ না দেয়ায় তাদেরকে মারপিটকরেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মহিপুর অফিসার ইনচার্জ মহিপুর থানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।