আমতলী প্রতিনিধিঃ
ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে আমতলীতে মঙ্গলবার বিকেল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে উপকুলের মানুষের মাঝে ঘুর্ণিঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে আমতলী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পায়রা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় সাইক্লোণ সেল্টারে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমতলীর বিভিন্ন সাইক্লোণ সেল্টারে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সাইক্লোণ সেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের মাঝে মঙ্গলবার রাতে ইউএনও মনিরা পারভীন খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করেছেন।
আমতলী ঘুর্ণিঝড় কর্মসূচী অফিস সুত্রে জানাগেছে, সুপার সাইক্লোণ আম্ফান পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬’শ ৫০ কিলোমিটার দুরে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। উপকুলীয় অ ল আমতলীতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর ও নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছাস প্লাবিত হতে পারে। ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশ মেঘাছন্ন ও প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম ও হালাকা বাতাস বইছে। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পায়রা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থান সাইক্লোণ সেল্টারে নেয়া হয়েছে। সাইক্লোণ সেল্টারে আসা মানুষের মাঝে মঙ্গলবার রাতে ইউএনও মনিরা পারভীন খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামিউল হিকমা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা।
মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৮৮ টি সাইক্লোণ সেল্টারে কিছু কিছুৃ মানুষ এসে আশ্রয় নিয়েছে। ইউএনও মনিরা পারভীন আমতলী সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোণ সেল্টারে খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করেছেন। এখন পর্যন্ত উপজেলার সাইক্লোণ সেল্টারগুলোতে অন্তত ৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, ইউএনও মনিরা পারভীন চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোণ সেল্টারে আশ্রয় নেতা অন্তত তিন শতাধিক মানুষের মাঝে খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করেছেন।
উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাড. নুরুল ইসলাম বলেন, পায়রা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এলাকার অন্তত এক হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, ঘুর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে উপজেলায় ৮৮টি সাইক্লোণ সেল্টারে কিছু কিছু মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষের মাঝে খিচুরী ও শুকনা খাবার বিতরন করা হয়েছে। আশ্রয় নেয়া মানুষের মাঝে মাস্ক ও সাবান বিতরন করা হবে। তিনি আরো বলেন, আশ্রিত মানুষের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের কাছে সরকারী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া কোন মানুষের কষ্ট পেতে হবে না।