বিশেষ আপন নিউজ রিপোর্টঃ
কলাপাড়া উপজেলার ত্রিশ হাজার মানুষ কাল রোববার পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপন করবে। এবারে করোনা সংক্রমনের জন্য তারা সামাজাক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ উদযাপনের জন্য তাঁদের কেনাকাটাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার পাঁচজুনিয়া ,চালিতাবুনিয়া,লালুয়া ইউনিয়নের উত্তর লালুয়া,মাঝীবাড়ি ও নিশানবাড়িয়া,মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া,আরামগঞ্জ ও সাফাখালী,টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের এবং কলাপাড়া পৌর শহরের নাইয়াপট্রি,স্লুইজ ঘাট ও বাদুরতলী এলাকার ত্রিশ হাজার মানুষ এবারও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করছে। স্থানীয়ভাবে এরা ‘চানটুপির’ লোক হিসেবে পরিচিত।
এদিকে চিশতিয়া কাদেরিয়া তরিকার অনুসারীদের সূত্রে জানা গেছে,এ তরিকার অনুসারীদের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে রোববার সকাল ৮ টায় উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া গ্রামের মরহু পীর সাহেব হযরত মাওলানা শফিজউদ্দিন বিশ্বাসের মাজার জাহাগিরিয়া শাহসূফী মমতাজিয়া দরবার প্রাংগনে। সেখানে ঈদের জামাত পড়াবেন দারবার শরীফের হাফেজ অরিফুর রহমান।
এছাড়া পাঁচজুনিয়া খানকায়, উ.মাঝি বাড়ি খানকায়,তেগাছিয়া সাফাখালী খানকায়,কলাপাড়া পৌরশহরের নাইয়াপট্টি জামে মসজিদে ঈদের পৃথক পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কলাপাড়া শহরের নাইয়াপট্রি এলাকার বাসিন্দা মো.রুস্তুম আলী বলেন,‘আমরা কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী। সৌদীআরবের সঙ্গে মিল রেেেখ আমরা রোজা ও ঈদ করি। মুসলমানদের অন্যদের চেয়ে আমরা একদিন আগে রোজা রেখেছি। সে হিসেবে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করব।
উপজেলার কেন্দ্রীয় দরবার শরীফের প্রধান খাদেম মো.নিজামউদ্দিন বিশ্বাস জানান,কলাপাড়া উপজেলায় ত্রিশ হাজার কাদেরিয়া তরিকার ভক্তরা প্রতিবছরের মত এবারও ঈদ উদযাপন করবে। তবে করোনা সংক্রমনের জন্য তারা সামাজাক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিমিত আকারে ঈদের জামাত শেষে করে যার যার বাড়িতে উদযাপন করবে বলে তিনি জানান। কলাপাড়া ছাড়াও পাশের গলাচিপা উপজেলার রাঙ্গাবালী,ছোট বাইশদিয়া,বড়বাইশদিয়া,মৌডুবী,চালিতাবুনিয়া থেকেও কাদেরিয়া তরিকার অনুসারীরা অংশগ্রহন করবে।’