প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৩, ২০২৪, ৪:৫০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১৪, ২০২০, ৯:০২ অপরাহ্ণ
কলাপাড়ায় স্বামী পরিত্যক্তা সাবেকুন্নাহার দুই মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন
এস এম আলমগীর হোসেনঃ
কলাপাড়ায় স্বামী পরিত্যক্তা সাবেকুন্নাহার মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছে। অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বড় মেয়ের স্কুলে যাওয়া। স্বামী পরিত্যাক্তা সাবেকুন্নাহার জুটেনি স্বামীর বাড়ি স্থান, নেই বাপ দাদার ভিটা। অসহায় ভাবে ভাইয়ের ছোট্ট বাড়িতে বসবাস করছে।
বর্তমান ঠিকানা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মুনাফ আলী মেয়ে সাবেকুন্ননাহার সাথে বরগুনার বেতাগী ইউনিয়নের ৭নং সরিষামুড়ি গ্রামের কলমদার খানের ছেলে ইয়াসিন খানের ২০০৫ সালে বিয়ে হয়।
সংসার জীবনে দুই কন্যা সন্তান জম্ম গ্রহন করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে গর্ভে সন্তান রেখে স্ত্রীর বড় ভাই মালেকের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। স্ত্রী তার গর্ভে সন্তান নিয়ে তার স্বামীর বাড়ি সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করলে কোন খবর পাইনি।
তারপর সাবেকুন্নাহার অসহায় অবস্থায় নাবালক কন্যা ও গর্বে সন্তান অবস্থায় মানুষের বাড়ি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ খরচ চালিয়ে থাকেন।
বর্তমানে সাবেকুন্নাহার দুই মেয়ে। বড় মেয়ে লাকি আক্তার (১০) ও ছোট মেয়ে মারিয়া আক্তার(৭)। ভাইয়ের বাসায় থেকে মানুষের বাড়ি কাজ করা অবস্থায় বড় মেয়ে লাকিকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করিয়েছেন।
চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত শেষ হয়ে যায় নাকি পড়াশোনা নতুন করে আলোর মুখ দেখতে চায় নাকি তবে অসহায় স্বামী পরিত্যক্তা সাবেকুন্নাহার এর পক্ষে পড়াশোনার খরচ করতে পারছে না।
স্বামী পরিত্যক্তা সাবেকুন্নাহার বলেন, বড় মেয়ে যখন পাঁচ বছর এবং ছোট মেয়ে ছয় মাসের গর্ভে তখন স্বামী ভাইয়ের বাসায় রেখে পালিয়ে যায়। স্বামীকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঢাকায় গিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে দুটি মেয় কে বড় করেছি। করোনায় কাজ নাই, তাই ঢাকায় কোন কাজ না পেয়ে ভাইয়ের বাসায় এসেছি। দুই মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছি। ওদের লেখাপড়া পোশাক দিতে পারছিনা। আমার ঘর নাই, বাড়ি নাই অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি মেয়েদের।
স্থানীয় হাসান পারভেজ বলেন, স্বামী পরিত্যক্তা সাবেকুন্নাহার খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছে দুই মেয়েকে নিয়ে। এ মুহূর্তে তার একটি ঘর দরকার এবং দুই মেয়ের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা উচিত তাই বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
Copyright © 2024 আপন নিউজ. All rights reserved.