আপন নিউজ বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কলাপাড়ায় গরুর হাট’র নিয়ন্ত্রন নিয়ে শহর ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে স্থানীয়দের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখীমারা বাজারের গরুর হাট নিয়ে ছাত্রলীগের এ অস্ত্রের মহড়ায় ক্ষমতাসীন দলের ইমেজ সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: আসাদুর রহমান বলেন, ’স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পৌরসভা ছাত্রলীগের দু’নেতাকে ঘটনাস্থল
থেকে চলে আসার জন্য বলা হয়। কেননা ইজারা বিহীন ওই বাজারটিতে স্থানীয়রা এসে তাদের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী, গবাদি পশু বিক্রী করে। যা থেকে উত্তোলনকৃত টাকা মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় হয়। বাজারটি নিয়ে কোন রকম ঝামেলা করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে তাদের স্পষ্ট করার পর তারা চলে যায়।’
এনিয়ে শহর ছাত্রলীগের সম্পাদক জুয়েল রানা বলেন, ’বাজারটি পৌরসভার আওতা বহির্ভূত। এমপিকে জানিয়ে ইজারা বিহীন ওই বাজার থেকে মসজিদের নামে স্থানীয় ক’যুবক টাকা উত্তোলন করলেও মসজিদ তা না পাওয়ায় তিনি নিজে উপস্থিত থেকে মসজিদের উন্নয়নের জন্য টাকা উত্তোলন করেন। যা এমপি স্যার এলে তাঁর মাধ্যমে মসজিদে দেয়া হবে। আর এ উদ্দোগ বন্ধ করতে শুভ’র অনুসারীরা স্কুল ব্যাগে করে বগি, রামদা নিয়ে ৭/৮টি মোটর সাইকেল যোগে পাখীমারা বাজারে এলে তাদের নিবৃত্ত করা হয়।’
তবে এনিয়ে শহর ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান শুভ বলেন, ’৩২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ডাকে পৌরসভার গরুর বাজারটিকে তিনি ইজারা নেন। তার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পাখীমারা বাজারে গরুর হাট বসিয়ে মসজিদের উন্নয়নের কথা বলে টাকা আদায় করলেও মসজিদ ওই টাকা পাচ্ছেনা। তাই ইজারা বিহীন গরুর হাটটি বন্ধের জন্য তিনি ডিসি বরাবর আবেদন করেন। এরকম আরও দু’টি গরুর হাট বালিয়াতলী ও টিয়াখালী ইউনিয়ন এলাকার মধ্যে বৃহস্পতিবার ও মঙ্গলবার বসে।
তিনি পাখিমারা হাট বন্ধ করতে শহর ছাত্রলীগ সম্পাদককে বারবার বললেও তিনি কর্নপাত করছেন না। ইতোপূর্বে হাটটি বন্ধ করার অনুরোধ নিয়ে লোক পাঠালেও সোমবার সকালে পাখীমারা বাজারে তিনি যাননি এবং তার কেউ যায়নি।’
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন আ’লীগ সম্পাদক মাসুদ নিজামী বলেন, ’পাখিমারার ওই গুরুর হাট নিয়ে শহর ছাত্রলীগের দ্বিধাবিভক্তির বিষয়টি ইতোপূর্বে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সোমবার সকালে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়ার বিষয়টি দলের জন্য বিব্রত কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।’
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ’পাখিমারার ওই বাজারটি ইজারা দেয়া হয়নি। ওখানের গরুর হাট নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি জেনেছি। তবে ওখানে শুভ’র যাওয়া ঠিক হয়নি। উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করা হয়েছে। এমপি মহোদয় এলে দু’পক্ষকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’