বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেছেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ডায়াবেটিক বেশি হচ্ছে। এখানে এখন জীবনমানের প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। যার মধ্যে মানুষের হাঁটার অভ্যাস কমছে, খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এসেছে। যেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিক এমন একটি রোগ যা ধারাবাহিকভাবে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে এখন আমাদের ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে। যেখানে রোগীর জন্য নিজের বর্তমান অবস্থা নির্ণয় হবে সহজতর।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে পালস হেলথ কেয়ার সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন’র সহযোগিতায় পালস হেলথ কেয়ার সার্ভিসের সঙ্গী হয়েছে সুপারশপ ‘স্বপ্ন’। বুধবার (১৩ নভেম্বর) ‘স্বপ্ন’র গুলশান-১ আউটলেটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
নতুন এই সেবা সম্পর্কে অধ্যাপক আজাদ বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য চালুকৃত এই অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সহায়তা করতে পেরে আমাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন’ খুবই গর্বিত। দেশের স্বাস্থসেবা খাতকে পুরোপুরি ডিজিটাল করে তোলার ক্ষেত্রে এটি শুভসূচনা বলে আমি বিশ্বাস করি। ডায়াবেটিস সেবায় অনলাইন প্লাটফর্ম আরও অনেক বেশি কার্যকর হবে এবং রোগীদের ধারাবাহিক পরীক্ষা নিশ্চিত করবে।