আমতলী প্রতিনিধিঃ
আমতলীতে জমির সীমানাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সুলতান গাজী (৫০) নামের একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত চুন্নু গাজী ও পনু গাজীকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার ঘোপখালী গ্রামে। পুলিশ নিহত সুলতান গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানাগেছে, উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের লতিফ গাজী ও মোশাররফ মালের সাথে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই জমির সীমানা নির্মাণকে কেন্দ্র করে লতিফ গাজী এবং মোশাররফ মাল ও তার লোকজনের সাথে কথা কাটা-কাটি হয়। এ নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের ছয়জন আহত হয়। গুরুতর আহত সুলতান গাজী ও তার দুই ছেলে চুন্নু গাজী ও পনু গাজীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন খন্দকার আহত সুলতান গাজীকে মৃত্যু ঘোষনা করেন এবং চুন্নু গাজী ও পনু গাজীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত মোশাররফ মাল, আইউব মাল ও শাহীন মালকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং নিহত সুলতান গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার পরপরই মোশাররফ মাল ও তার লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
নিহত সুলতান গাজীর ভাই জাহাঙ্গির গাজী বলেন, আমার ভাই সুলতান গাজীকে আইউব মাল, মোশাররফ মাল, হাবিব মাল, তৈয়ব মাল ও মকবুল মাল পিটিয়ে হত্যা করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুমন খন্দকার বলেন, সুলতান গাজী হাসপাতালে আনার পূর্বেই মারা গেছেন।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাসপাতাল থেকে সুলতান গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মামলার প্রস্তুতি ও আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।