খান মাইনউদ্দিন, বরিশালঃ
প্রেমিকাকে নিয়ে আবাসিক হােটেলে অভিসারে উঠে প্রথমেই পড়লো ভূয়া ডিবির খপ্পরে। এরপর জিম্মিদশা থেকে বাঁচতে প্রেমিকাকে হাত বদল করলো ডিবি পরিচয়দানকারী ওই মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির কাছে। তারপর হোটেল মালিকের সহায়তায় চারবার ধর্ষণ। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ডিবি পরিচয়দানকারীকে ধরতে কোতয়ালী পুলিশ হাজির হলে বেড়িয়ে আসে আসল ঘটনা। এঘটনায় ধর্ষিত কিশোরীর মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, ধর্ষিত কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, প্রেমিক সজল কর্মকার (২৫), ডিবি পরিচয়দানকারী ঠিকাদার মিজানুর রহমান জাকির (৫৩) ও হোটেল ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার (৫৫)। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পিরোজপুরের ইন্দুরকানী এলাকার সজল কর্মকারের সাথে বরিশালের গৌরনদীর কলেজ ছাত্রী (মুসলিম)’র ৫পাঁচ বছর ধরে প্রেম চলছিলো। শনিবার বিয়ের কথা বলে ওই কলেজ ছাত্রীকে বরিশালে এনে সাগরদী ব্রীজ সংলগ্ন হোটেল মুনে একটি কক্ষ ভাড়া নেনে। সেখানে উঠে একবার শারীরীক সর্ম্পক স্থাপন করেন সজল কর্মকার। উভয়ের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ওই হোটেলের ৫ নং কক্ষের বোর্ডার বরগুনার বাসিন্দা ঠিকাদার মিজানুর রহমান জাকির সজল ও তার প্রেমিকার কক্ষে ঢুকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে জিম্মি করে। একপর্যায়ে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে সুরহার প্রস্তাব দেন। ওই যুগল পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার পর ডিবি পরিচয়ে ওই কিশোরীকে তিন দফায় ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরী কোতয়ালী থানায় মুঠোফােনে জানালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালান। সেখান থেকে তিনজনকে গ্রফতার করে পুলিশ।
কোতয়ালী থানার এসআই শাহাজালাল জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তবে ঠিকাদার মিজানুর রহমান জাকিরকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার ভাই বশির উদ্দিন