আপন নিউজ রিপোর্টঃ

কলাপাড়ায় বন্ধ হয়নি অবৈধ ১৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম জেলার ৮টি উপজেলা সরেজমিনে পরিদর্শন করে এ উপজেলার ১৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা, সবাই এখন দৌড়ঝাঁপে।
পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কার্যালয় সূত্রটি জানায়, সিভিল সার্জন ডা: মো জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম পটুয়াখালী জেলার ৮টি উপজেলার বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে নিবন্ধন নেই, চিকিৎসক নেই, প্রয়োজনীয় জনবল নেই ও বিধি বহির্ভুতভাবে পরিচালনার জন্য কলাপাড়ার ১৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধ হিসেবে শনাক্ত করে বন্ধের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এরপর থেকেই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মানিকদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে যায়। কেউ কেউ স্বাস্থ্য বিভাগকে ম্যানেজ করে চালু রয়েছে এ অবৈধ ব্যবসা।

একটি সূত্র জানায়, কলাপাড়া উপজেলায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ২১টি। এর মধ্যে ১৭টিই অবৈধভাবে চলছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- গ্রিন লাইভ ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিএইচএম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রামীণ কল্যাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সাউথ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ হেলথ কেয়ার ক্লিনিক, নিউ বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিজিটাল অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুক্তি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কুয়াকাটা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কুইক কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পানামা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: চিন্ময় হাওলাদার বলেন, ওই ১৭ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বন্ধের ব্যাপারে আমরা চিঠি পেয়েছি, এবং ওই চিঠির কপি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে, এতে কেউ কেউ বন্ধ করেছে।
যারা চিঠি পাওয়ার পর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো খোলা রেখেছে , তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।