রিপোর্ট-মাইনুদ্দিন আল আতিকঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী ধর্ষণবিরোধী কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান-এর সভাপতিত্বে ও নেতৃত্বে লঞ্চঘাট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পিডিএসএ ময়দানে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখার সেক্রেটারি আর.আই.এম অহিদুজ্জামান-এর সঞ্চালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দেশে আজ নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মহামারী রুপ ধারন করেছে। প্রতিনিয়ত ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বেড়েই চলছে৷ এর থেকে উত্তোরনের জন্য সংসদে দ্রুত ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়ন করতে হবে।'
জেলা সেক্রেটারি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন না থাকায় এবং বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ধর্ষণ এবং পৈশাচিক নারী নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রাণের দাবি হল- ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে সংসদে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাশ করার পাশাপাশি তা দুই মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা।'
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা সহ-সভাপতি মাও.কাজী গোলাম সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান বোখারী, অধ্যক্ষ মাওলানা নাজমুল হুদা, অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল বাশার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মুহাম্মদ সেলিম মিয়া মাস্টার মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আনসারুল্লাহ, মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম, মাস্টার সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা ইলিয়াস আহমাদসহ শ্রমিক আন্দোলন, যুব আন্দোলন ও ইশা ছাত্র আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর হাতে আমাদের মা-বোনেরা ইজ্জত হারিয়েছে বিধায় আমরা তাদেরকে (হানাদার বাহিনীকে) ঘৃণাভরে স্মরণ করি। আর এখন ইজ্জত হারাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে। তবে তারাও হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা নয় কি? আমরা সরকারের প্রতি স্পষ্ট একটি বার্তা দিতে চাই- দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করা না হলে চলমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের দাবানল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। কারণ, এদেশের দামাল ছেলেরা কোনো অন্যায় অবিচার সহ্য করেনি কখনো।’