বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কলাপাড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত নারী চিকিৎসক ডা. তনিমা পারভিন রুনা’র চিকিৎসা সেবা প্রদানে গাফেলতির অভিযোগে রোগী মৃত্যু ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিম্নে নয় এরকম কর্মকর্তাতে ৪০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক শোভন শাহরিয়ার’র আদালত এ আদেশ প্রদান করেন। নিহত জবেদা বেগমের স্বামী আমিরুল ইসলাম ওরফে সুলতান মিয়া সোমবার আদালতে মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ আদালত আদেশের জন্য রেখে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭:৪০ মিনিটের সময় অসুস্থ জবেদা বেগমকে চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবারের সদস্যরা। এসময় কর্তব্যরত নারী চিকিৎসক ডা. তনিমা পারভিন রুনা (কোড নং-১৩৯৭৯৭ ) তার কর্তব্য কাজে অবহেলা করে নিরাপত্তা প্রহরী আবদুল হককে দিয়ে দায়সারা চিকিৎসা পত্র দিয়ে রোগীকে বরিশাল রেফার করেন। ভিকটিম জবেদা শ্বাস কষ্টে ছটফট করায় তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়ার জন্য অনুরোধ করা সত্তে¡ও কর্তব্যরত নারী চিকিৎসক এতে কর্নপাত না করে মোবাইল ফোনে খোশ গল্পে ব্যস্ত থাকে। পরে সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে এ্যামবুলেন্স যোগে বরিশাল নেয়ার পথে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এর আগে হাসপাতালের কর্তব্যরত নারী চিকিৎসক ডা. তনিমা পারভিন রুনাকে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নিহতের স্বজনরা শারিরীক ভাবে লাি ত করা সহ তাকে হুমকী প্রদানের ঘটনায় নিহতের ১০ স্বজনের নামে ৮ অক্টোবর দুপুরে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন ডা. তনিমা। মামলা দায়েরের পর এজাহারভুক্ত আসামী আলাউদ্দীনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুকন্ঠ দে সোমবার গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার পর মঙ্গলবার শুনানী শেষে আসামী পক্ষের নিযুক্তীয় কৌশুলীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।