রিপোর্ট-এস এম আলমগীর হোসেনঃ
আসন্ন কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন আওয়ামীলীগের দলীয় অনেক নেতারা।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা রঙ্গিন ব্যানার ও পোষ্টার সাঁটানো এবং সমাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান যোগদান করছেন। তারা তাদের প্রত্যাশার কথা প্রকাশ করছেন। ইতোমধ্যে ভোটারেরাও শুরু করেছেন চুলচেরা বিচার বিশ্লেষন।
মেয়র প্রার্থীরা দলের নৌকা পেতে জেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃস্থানীয়দের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। সেই সাথে চালাচ্ছেন জোর তদবির-লবিং। এদিকে কে কোন দলের মনোনয়ন পাবেন আর কে মেয়র হচ্ছেন ভোটারদের মাঝে এমন সব আলোচনা পর্যালোচনায় সরব হয়ে উঠেছে পৌর এলাকার চা স্টল গুলো। আওয়ামী লীগ থেকে হাফ ডজন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে নানা তদবির চালাচ্ছেন। তারা হলেন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, তিনি ২৩ বছর পর্যন্ত শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক দপ্তর সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক এবং সাবেক কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরে কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা মার্কায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
কলাপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম, তিনি সাবেক সহ-সভাপতি কলাপাড়া থানা ছাত্রলীগ ও সাবেক আহবায়ক কলাপাড়া থানা আওয়ামীযুবলীগ। কলাপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা: বিলকিস জাহান, তিনি সাবেক কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা, কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজর সভাপতি, কলাপাড়া মহিলা সমিতির উপদেষ্টা, সাবেক কলাপাড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের দুই বার মহিলা কাউন্সিলর এবং কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের দুুই বার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য ও কলাপাড়া পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ সিকদার, তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে আওয়ামী লীগ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর ছিলেন, ১৯৯২ সালে সাবেক ইউপি সদস্য।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ আখতাউর রহমান হারুন, তিনি কলাপাড়া ও কুয়াকাটা মানবাধিকারের সভাপতি ও সাবেক ঢাকাসহ কলাপাড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, তিনি রাজনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে একটানা প্রায় ৩২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন, ১৯৮৮ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি হয়। পরে তিনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়াক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যুবলীগের দায়িত্ব পালনকালে একই সাথে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে তারা মাঠে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের অনেকে মেয়র প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীতা দিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে পারেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
কলাপাড়া নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৮৪৪ জন। এলাকা জুড়ে বারো হাজার ৮৪৪ ভোটার নিয়ে হতে যাছে কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচন।
চলবে: আপন নিউজে কলাপাড়া পৌর নির্বাচন নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব নিউজ আসছে।
Leave a Reply